বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) প্লাস্টিক ‘র’ ম্যাটেরিয়াল প্রক্রিয়াজাত করে চোখের সামনেই পণ্য তৈরি করে দেখানো হয় মেলায়। পাশাপাশি খাদ্য তৈরির মেশিনগুলোও সাধারণ আটা-ময়দা দিয়ে তৈরি করছে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য সামগ্রী।
মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখা গেছে, ৫/১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে লাখের ঘরে বিভিন্ন ধরনের মেশিন কেনার সুযোগ রয়েছে ক্রেতাদের। যাদের বাজেটের অঙ্ক বড় তারা ১০ থেকে ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে উদ্যোক্তা হতে পারেন।
চীনের তৈরি ৩২ লাখ টাকা মূল্যের ‘ইনজেকশন মোডিং মেশিন’, ১২ হাজার টাকার ‘কনটিনিউয়াস সেলিং মেশিন’, দুই লাখ ৮০ হাজার টাকার ‘প্যাকেজিং মেশিন’ বিস্কিট তৈরির সাড়ে ১১ লাখ টাকার ‘কুকিজ ডিপোজিটর মেশিন’ ছাড়াও নানা ধরনের মেশিন পাওয়া যাচ্ছে মেলায়।
মেলার আয়োজকরা বলছেন, বিশ্বব্যাপী ফ্যাশনেবল ও বাহারি ডিজাইনের প্লাস্টিক পণ্যের চাহিদা রয়েছে। প্লাস্টিক শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি বিকাশমান শিল্পখাত। কাঠের বিকল্প হিসেবে প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার বাংলাদেশে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ক্রমবর্ধমান এ চাহিদার যোগান দিতে দেশেই আন্তর্জাতিক মানের প্লাস্টিক শিল্প-কারখানা গড়ে উঠছে।
ইতোমধ্যে দেশে ছোট-বড় মিলিয়ে ৫ হাজার ৩০টি প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠেছে। এ খাতে সরাসরি ৫ লাখ এবং পরোক্ষভাবে ৭ লাখ মানুষ কাজ করছে। পরিবেশবান্ধব প্লাস্টিক পণ্যের উৎপাদন বাড়িয়ে নিজস্ব চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি রফতানির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ তৈরি হবে।
আর এই প্লাস্টিক মেলা উদ্যোক্তা তৈরির পাশাপাশি অধিক বিনিয়োগে রফতানির সুযোগ করে দেবে। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মেলায় বিভিন্ন পণ্যের স্টল থেকে দর্শনার্থীরা সেই সুযোগ করে নিতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৭
এমআইএইচ/এসআরএস/এটি