কিন্তু জনবল সংকটে ভুগছে সোনাগাজী উপজেলা কৃষি বিভাগ। যার কারণে দৈনন্দিন স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
৯টি ইউনিয়ন পৌরসভা নিয়ে গঠিত সোনাগাজী উপজেলায় ৩০ হাজার ৫শ’ কৃষক পরিবার রয়েছে। উপজেলায় আবাদি জমি রয়েছে ২১ হাজার ২০ হেক্টর, রোপা আমন ২০ হাজার ৫শ’ ৭০ হেক্টর, বোরো ৭শ’ হেক্টর, আউশ ৭ হাজার ৫শ’ হেক্টর। এসব ভূমি ব্যবস্থাপনা, বীজ, সার, কীটনাশক, ফসলের রোগবালাই, পোকা-মাকড়, ইঁদুর নিধনসহ উন্নত ফলনশীল জাতের ফসল উৎপাদনে কৃষকদেরকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ।
কিন্তু চরম জনবল সংকটে এ সেবামূলক প্রতিষ্ঠানটির সুফল ভোগ করতে পারছেন না উপজেলার কৃষক পরিবারগুলো। ফলে ফসল উৎপাদনে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন কৃষক।
জানা গেছে, সোনাগাজী উপজেলা কৃষি অফিসের ৪৪টি পদের মধ্যে ২২টি পদ শূন্য রয়েছে। ২২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়েই চলছে কৃষি বিভাগের কার্যক্রম। এখানে অতিরিক্ত কৃষি অফিসার ১ জন, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ২ জন, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার ১৪ জন, উচ্চমান সহকারী ১ জন, অফিস সহকারী ১ জন, স্প্রে মেকানিক ১ জন, নিরাপত্তা প্রহরী ১ জন, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ১ জনসহ ২২ জনের পদ শূন্য রয়েছে।
উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আশরাফ হোসেন পাটোয়ারী জানান, চরচান্দিয়া ইউনিয়নে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার পদ ৩টির মধ্যে ২টি শূন্য রয়েছে। তিনজনের কাজ আমাকে একা করতে হয়। শুক্র-শনিবার ছুটির দিন হলেও সকাল-সন্ধ্যা কৃষকের সঙ্গে কাজ করতে হয়।
তিনজনের কাজ একজন দিয়ে সুষ্ঠুভাবে সম্ভব নয়। এতে কৃষক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
মতিগঞ্জ ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের কৃষক মাহবুবুল হক জানান, আমার এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার পদটিতে কেউ নেই। পদটি শূন্য থাকায় সেবা পেতে অনেক সমস্যা তৈরি হয়। সঠিক সময়ে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে পাওয়া যায় না। সেবা পেতে বিলম্ব হয়।
সোনাগাজী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. শরিফুল ইসলাম জানান, ৪৪টি পদের মধ্যে ২২টি পদই শূন্য রয়েছে দীর্ঘদিন। জনবল সংকট থাকার কারণে প্রতিদিন অফিস সময়ের বাইরে রাত পর্যন্ত ও ছুটির দিন সকাল-সন্ধ্যা কাজ করতে হচ্ছে। তারপারও কৃষক উন্নত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৭
এসএউচডি/কেজেড/জেডএস