ব্যবসায়ীরা বলছেন, ক্রেতারা চাহিদার অতিরিক্ত পণ্য না কিনলে রমজানেও পণ্যের দাম বাড়বে না। রমজানে অধিকাংম মানুষ মাসের বাজার একবারে করেন।
সরেজমিনে রাজধানীর শ্যামবাজার, যাত্রাবাড়ী, কারওয়ান বাজারে দেখা যায়, পেঁয়াজ, ছোলা চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্য স্বাভাবিক দামে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু খুচরা বাজারে দাম নেওয়া হচ্ছে এর কয়েকগুণ বেশি। ৭৫ টাকায় কেনা ছোলা খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। চিনি পাইকারি বাজারে ৫৫ থেকে ৫৭ টাকা হলেও খুচরা বাজারে ৭০ টাকা। পেঁয়াজ ১৬ থেকে ২২ টাকা হলেও খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ২৬ থেকে ৩০ টাকায়।
পেঁয়াজের দাম জানতে চাইলে শ্যামবাজারের ব্যবসায়ী অতল বাবু বাংলানিউজকে বলেন, প্রকারভেদে ভারতীয় পেঁয়াজ পাইকারি ১৫ থেকে ১৬ টাকা, দেশি ২২ থেকে ২৪ টাকা এবং দেশি কিং ২০ থেকে ২১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে দাম বাড়বে এ ধরনের আশঙ্কার কারণ নেই।
চকবাজারের ডাল ব্যবসায়ী জাহিদ অ্যান্ড ব্রাদার্সের ম্যানেজার ইসরাফিল বাংলানিউজকে বলেন, রমজানের বাজার শুরু হয়ে গেছে। ছোলার পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে।
একইভাবে চিনির গোডাউনে পাইকারি দাম প্রতিকেজি ৫৫ থেকে ৫৭ টাকা হলেও খুচরা বাজারে ৭০ টাকায় বিক্রি করছেন মুদি দোকানিরা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমরা আড়ৎ থেকে ১ থেকে ২ টাকা লাভে বিভিন্ন দ্রব্যপণ্য বিক্রি করি। এখন খুচরা ব্যবসায়ীরা যাতে সাধারণ ক্রেতাদের কাছ থেকে বাড়তি দাম আদায় করতে না পারে সেজন্য মনিটরিং বাড়াতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৭
এএম/ওএইচ/এএ