বৃহস্পতিবার (১১ মে) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
তিন দিনব্যাপী নিরাপদ নির্মাণ, বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং নবায়ণযোগ্য জ্বালানি বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ‘স্যাভর ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড’।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার আগে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা পাঁচ হাজার মেগাওয়াটেরও কম ছিলো। কিন্তু বর্তমান সরকার ২০১৪ সালে ক্যাপটিভ পাওয়ার (শিল্প কারখানায় স্থাপিত বিদ্যুৎ উৎপাদক জেনারেটর) ও স্যোলার পাওয়ার ছাড়াই তা বাড়িয়ে উৎপাদনের পরিমাণ করে ১১ হাজার একশ’ ২৬ মেগাওয়াট করে।
২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয় এ উদ্যোগে সামিল হয়েছে। ইতোমধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলোর ব্যাগাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। এরপর সাভারের চামড়া শিল্প নগরীতে ট্যানারির সলিড বর্জ্য থেকেও বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। আমির হোসেন আমু বলেন, বাংলাদেশ থেকে ১০২টি দেশে ওষুধ রফতানি হচ্ছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও মেট্রোরেল প্রজেক্টের নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে।
অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, দেশ অর্থনীতিতে এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে আমরা নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছি। এখন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে কাজ করছি। গ্রিন এনার্জি ফাইন্যান্স প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। যদি কোনো প্রতিষ্ঠান গ্রিন ফ্যাক্টরিতে রূপান্তরিত হতে চায়, সেক্ষেত্রে স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থাও করা হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এ বোর্ড অব কনসালট্যান্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ড. এম শামীম জেড বসুনিয়া, ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডে (ইডকল) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ মালিক, স্যাভর ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের এমডি ফায়জুল আলম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৭
ইউএম/এএটি/এইচএ/