ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

গরুর মাংসের বাজার চড়ছেই

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৬ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৭
গরুর মাংসের বাজার চড়ছেই গরুর মাংসের বাজার চড়ছেই। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বছর জুড়ে নানা অযুহাতে ব্যবসায়ীরা গরুর মাংসের দাম বাড়িয়েই চলছেন। কখনো ধর্মঘট করে, কখনো কৃত্রিম সঙ্কট দেখিয়ে, আবার কখনো ভারতীয় গরু দেশে আসছে না বলেও মাংসের দাম বাড়িয়েছেন মাংস বিক্রেতারা।

দাম বাড়াতে বাড়াতে ৩৫০ টাকা  কেজি দরে বিক্রি হওয়া গরুর মাংস এখন ৫২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রমজান মাসকে রেখে আবারও মাংসের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছেন বিক্রেতারা।



শনিবার (১৩ মে) সকালে রাজধানীর কয়েকটি বাজারের গরুর মাংসের দোকানে গিয়ে ক্রেতা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।

গরুর মাংসের দামের ঊর্ধ্বগতি সম্পর্কে মাংস ব্যবসায়ীরা বলেন, চাহিদা অনুযায়ী যোগান কম হওয়াতে মাংসের দাম বেড়ে যাচ্ছে। ভারতীয় গরু দেশে কম আসায় দেশি গরুর মাংস দিয়ে ভোক্তাদের চাহিদা মেটানো যাচ্ছে না, তাই দাম বেশি। গরুর মাংসের বাজার চড়ছেই।  ছবি: বাংলানিউজএছাড়া গাবতলী হাটে অধিক হাসিল আদায় ও চাঁদাবাজির কারণেও মাংসের দাম বেড়ে যাচ্ছে।
 
কারওয়ান বাজারের গরুর মাংস ব্যবসায়ী মো. ইয়াসিন বাংলানিউজকে বলেন, চাহিদা অনুযায়ী গরুর সংখ্যা দেশে কম। বেশি টাকা দিয়ে কিনে আমাদের বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে রমজান মাসে মাংসের দাম আরো বাড়তে পারে।

তবে বিক্রেতাদের দাম বাড়ানোর এ সব যুক্তি মানতে নারাজ ক্রেতারা বলছেন, রমজান মাস ও কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে মাংসের দাম ও গরুর দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করছেন গরু ব্যবসায়ীরা। যেখানে শবে বরাতের আগে প্রতিকেজি গরুর মাংসের দাম ছিল ৫০০ টাকা। কিন্তু একদিনের ব্যবধানে দাম বেড়ে হয়ে গেছে ৫২০ টাকা। এটাকে কি আমরা চাহিদা অনুযায়ী যোগান কম বলব, না কৃত্রিম সঙ্কট দেখিয়ে দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা বলবো।
 
রাজধানীর মিরপুরের বাসিন্দা ছানাউল হক বাংলানিউজকে বলেন, শবে বরাতের আগে কীভাবে মাংসের সঙ্কট দেখা দিলো। এর আগের দিন তো কোনো সঙ্কট ছিলো না। এতে বোঝা যায় ব্যবসায়ীরা রমজান সামনে রেখে দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা শুরু করেছে। আর ক্রেতাদের এ বেহাল দশা দেখারও কেউ নেই। গরুর মাংসের বাজার চড়ছেই।  ছবি: বাংলানিউজ
তবে ক্রেতাদের এ সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম।

বাংলানিউজকে তিনি বলেন, মাংসের বাজার এখন নিয়ন্ত্রণহীন এ কথা সত্য। কোনো কোনো বাজারে ৫০০-৫২০ টাকায় প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু এ জন্য ব্যবসায়ীরা দায়ী নয়, দায়ী হচ্ছেন গাবতলী হাট কর্তৃপক্ষ। তাদের অধিক হাসিল ও চাঁদাবাজির কারণে বাজারে মাংসের দাম বেশি। এ বিষয়ে সরকারও যেহেতু কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না, তাহলে আমাদের কি করার আছে।
 
ক্রেতা থেকে শুরু করে অনেক বিক্রেতা মনে করছেন গাবতলী হাট নিয়ে কিছু কিছু অভিযোগ রয়েছে যা সত্য। কিন্তু মাংসের দাম বৃদ্ধির মূল কারণ হচ্ছে বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি। তারা নানান সময় বিভিন্ন কর্মসূচি ও অযুহাত দেখিয়ে গরুর মাংসের দাম বাড়িয়েছে। এখন আবার রমজান মাসকে সামনে রেখে গরু ব্যবসায়ী ও মাংস ব্যবসায়ীরা একে অপরের ওপর দোষ দিয়ে সম্মিলিতভাবে গরুর মাংসের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ উঠছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৭
এমএ/আরআইএস/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।