ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

এসডিজি অর্জনে ১০০ কোটি টাকার ট্রাস্ট ফান্ডের প্রস্তাব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৬ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৭
এসডিজি অর্জনে ১০০ কোটি টাকার ট্রাস্ট ফান্ডের প্রস্তাব এসডিজি অর্জনে ১০০ কোটি টাকার ট্রাস্ট ফান্ডের প্রস্তাব

ঢাকা: টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিতে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো (এনজিও) কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। আর এসব সংস্থার জন্য আগামী অর্থবছরের বাজেটে ১০০ কোটি টাকার ট্রাস্ট ফান্ড গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ: বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে এ প্রস্তাব করেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। এ সেমিনারের যৌথ আয়োজন করে এনজিও বিষয়ক ব্যুরো এবং ‘এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্লাটফর্ম’।


 
এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্লাটফর্মের আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় বলেন, ট্রাস্ট ফান্ড গঠনে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। দরকার হয় সামনে আরও কথা বলবো। কারণ এনজিওগুলো ফান্ডের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে, এতে এসডিজি বাস্তবায়ন কার্যক্রম এগিয়ে যাবে। এসডিজি বাস্তবায়নে একটি নাগরিক উদ্যোগের সূচনা করতে যাচ্ছি আমরা।  
 
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, এসডিজি-২০৩০ একটি সার্বজনীন কর্মসূচি। এটি একটি বৈশ্বিক সামগ্রিক মানবিক কার্যক্রম। এসডিজি-২০৩০ বাস্তবায়নে সমন্বিতভাবে সবাইকে দেখতে হবে। এটাকে সার্বজনীন রূপ দিতে হবে।  
 
এসডিজি দেশীয় প্রেক্ষিতে বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়ে এই গবেষক বলেন, নিজের দেশের আশা-আকাঙ্ক্ষা যেন প্রতিফলিত হয় সেটাকে গুরুত্ব দিতে হবে। দেশের পিছিয়ে পড়া মানুষকে টেনে তুলতে হবে। সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তিখাত ও বেসরকারি সংস্থাকে কিভাবে যুক্ত করতে হয় সেটাকে গুরুত্ব দিতে হবে। আমরা বাংলাদেশে এসডিজি বাস্তবায়ন করতে সরকারকে সহযোগিতা করতে চাই। সরকার যে কাজ করছে তা নজরদারি করতে চাই। দেশীয় সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার যেন হয়, সে বিষয়েও আমরা কাজ করবো।  
 
সেমিনারে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, বাংলাদেশের সব মানুষ যেন এসডিজি কর্মসূচিতে যুক্ত হতে পারে তাতে নজর দিতে হবে। বর্তমানে সুশাসনের অভাব রয়েছে। এসডিজি লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে সুশাসনের যে লক্ষ্য আছে, সেটা নিয়ে আমরা কাজ করতে চাই। সুশাসন না থাকলে দেশের মানুষের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়।  
 
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আরেক সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নে শুধু দাতাদের মুখাপেক্ষী হলে চলবে না। আমাদের নিজের সম্পদ ব্যবহার করে এসডিজি বাস্তবায়ন করতে হবে। বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। শিক্ষাসহ সব কিছুতেই বাইরের দেশের দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে না।  
 
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, এনজিওগুলোর হিসাব রাখা দরকার।  এক বছরে এনজিওগুলোর কারা কী করেছে তার একটা হিসাব রাখলে আগামী বছর থেকে এসডিজি  বাস্তবায়নে সরকারের পাশাপাশি দেশের এনজিওগুলো কী কাজ করছে তার হিসাবও জাতিসংঘের বৈঠকে উপস্থাপন করতে পারবো। এসডিজি সরকারের একার পক্ষে অর্জন করা সম্ভব নয়। এজন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোর অংশগ্রহণও জরুরি।
 
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন—ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি আসিফ ইব্রাহীম, ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’র নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম,  ব্র্যাকের সহ-সভাপতি মুস্তাক রাজা চৌধুরী, সিপিডি ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, সিপিডির রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৬ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৭
এমআইএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।