ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আমদানি-রফতানিতে ডিজিটাল সেবা পাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩১ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৭
আমদানি-রফতানিতে ডিজিটাল সেবা পাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা

ঢাকা: ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল পেতে শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। এরইমধ্যে আমদানি-রফতানি অফিসে, ব্যবসায়ীদের ডিজিটাল সেবা দেওয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

রোববার (২১ মে) আমদানি-রফতানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের নতুন কার্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের আবেদন অন লাইনে নেওয়া হয় এবং অন লাইনেই রেজিস্ট্রেশন ও নবায়ন করা হয়।

ফলে, ব্যবসায়ীদের জন্য এ সেবা প্রাপ্তি সহজ হয়েছে। বাণিজ্য সহজ এবং ব্যবসায়ীদের দ্রুত সেবা দেওয়ার জন্য এ অফিসে ডিজিটাল সেবার ব্যবস্থাপনা চালু করা হয়েছে। আমদানি-রফতানিতে ব্যবসায়ীদের সেবা পেতে এখন আর বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়না।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এর ফলে দেশে ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাণিজ্যিক আমদানি নিবন্ধন সনদ (আইআরসি) সেবা সহজ করা হয়েছে, তিনদিনের স্থলে ১ দিন ১২ ঘণ্টা ২০ মিনিট সময়ে এবং ১৫টি ধাপের স্থলে ১০টি ধাপে আইআরসি জারি হরা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ই-ফাইলিং চালু করার ফলে স্বচ্ছতার সঙ্গে দ্রুত ব্যবসায়ীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়াই ব্যবসায়ীরা প্রয়োজনীয় সেবা নিতে পাচ্ছেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বছরে প্রায় দুইশত কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে থাকে এর অর্ধেকেরও বেশি আয় করে এ আমদানি-রফতানি অফিস থেকে। নতুন অফিসে কাজের পরিবেশ উন্নত এবং আধুনিক ব্যবস্থাপনার কারণে এখানে কার্যক্রম আরও বৃদ্ধি পাবে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, দেশের বাণিজ্য দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বাণিজ্য সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি অফিস গুলোকে দ্রুত সেবা প্রদানের জন্য অটোমেশন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এর সুফল এখন ব্যবসায়ীরা ভোগ করছে। গত অর্থবছর আমাদের রফতানি আয় ছিলো ৩৪ দশমিক ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং প্রবৃদ্ধি ছিলো ৯ দশমিক ৭৭ ভাগ। এ বছর রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২১ সালে এ রফতানির পরিমাণ দাঁড়াবে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সরকার ঘোষিত ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় দেশের রফতানি পণ্য সংখ্যা বৃদ্ধি এবং পণ্যে রফতানির বাজার সম্প্রসারণে কাজ করে যাচ্ছে। সরকার ইতোমধ্যে দেশের তৈরি পোশাকের পাশাপাশি আইটি, ওষুধ, ফার্নিচার, জাহাজ নির্মাণ, পাটপণ্য, কৃষিপণ্য রফতানিতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। রফতানি ক্ষেত্রে নগদ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে, ফলে দেশের রফতানি দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সময় ও প্রয়োজনের সঙ্গে তালমিলিয়ে বাণিজ্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সেবা দেওয়ার সক্ষমতাও বৃদ্ধি পেয়েছে।

আমদানি-রফতানি প্রধান নিয়ন্ত্রক আফরোজা খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য করেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব শুভাশীষ বসু।

বাংলাদেশ সময়: ২৩২১ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৭
আরএম/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।