মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ভ্যাট আইনে আগের নির্ধারিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট থাকছে না।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, এই ২৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব কমলেও আমি মনে করি ‘ভ্যাট নেট’ বিস্তৃত হওয়ায় রাজস্ব আয়ের পরিমাণও বাড়বে।
মন্ত্রী বলেন, বড় বড় ব্যবসায়ীরা আমার কাছে এসেছিলেন। তারা বলেছেন, ভ্যাট ১৫ শতাংশই থাকুক। কিন্তু সেক্টর ও বিজনেস ক্লাস ভাগ করা হোক। আমি এ প্রস্তাব নিয়ে অর্থমন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলাম। তিনি আমাকে বিষয়টি বুঝিয়ে বলেছেন, হার কমবে কিন্তু সবাইকে একই হারে ভ্যাট দিতে হবে।
তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, ভ্যাট প্রদান করে ভোক্তা, তাই হয়তো ব্যবসায়ীরা এটা নিয়ে মাথা ঘামাতে চান না। কিন্তু আমি সবাইকে এ বিষয়ে নিশ্চয়তা দিতে চাই, নতুন ভ্যাট আইনে নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে না এবং ভোক্তারা ভোগান্তিতেও পড়বেন না।
নতুন ভ্যাট আইন নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অর্থমন্ত্রী ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মতবিরোধের পর পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে। পরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে গণভবনে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। বৈঠকে নতুন আইনে ভ্যাট নির্ধারণে বাণিজ্যমন্ত্রীকে বড় দায়িত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী।
আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, নতুন ভ্যাট আইন চালু হলেও কিছু কিছু পণ্যে রেগুলেটরি ও সাবসিডিয়ারি কর থাকবে। দেশীয় শিল্পকে সুরক্ষা দিতেই এই ব্যবস্থা রাখা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৯ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৭
আরএম/এমজেএফ