শুক্রবার (২৬ মে) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা বাজার ও নতুন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দেখা যায়, গত সপ্তাহের মতোই গরুর মাংস কেজি প্রতি ৪৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে বেড়েছে সব ধরনের মুরগির দাম। ব্রয়লার কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকায়। গত সপ্তাহে যা বিক্রি হয়েছে ১৫৫ টাকা। পাকিস্তানি মুরগি আকারভেদে প্রতি পিসে বেড়েছে ২০ টাকা। দাম বেড়ে যা বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২৫০ টাকায়। দেশি মুরগি আকারভেদে প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুরগির দাম প্রসঙ্গে কারওয়ান বাজারে মুরগি কিনতে আসা সানজামুল ইসলাম বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে মুরগির দাম বেড়েছে। গত সোমবার ব্রয়লার মুরগি কিনেছি ১৫৫ টাকায়। কিন্তু আজ (শুক্রবার) কিনতে হলো ১৬৫ টাকায়।
বিক্রেতারা বলছেন, রোজার আগে মুরগির চাহিদা বেশি হওয়ায় বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয়েছে। আর কি-বা করার আছে, যেমন কিনবো সেরকমই তো বিক্রি করতে হবে।
তবে রোজার সময়ে বাজার মনিটরিং করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন এ বিক্রেতা।
মুরগির দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী হাশেম আলী বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার বা রোববার থেকে রোজা শুরু হচ্ছে। মার্কেটে মুরগি কম, থাকলেও দাম বেশি। আগে পাইকারি কিনতে হতো ১৪০ টাকা। এখন কিনতে হচ্ছে ১৪৫ টাকার বেশি।
রামপুরা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি পিস ২০ টাকা বেড়ে দেশি মুরগি ছোট (১ কেজি) বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা, আর বড় ৪শ’ টাকা (প্রায় দেড় কেজি)। ব্রয়লার মুরগি ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকায়।
কথা হয় মুরগি কিনতে আসা রোজী পারভেজের সঙ্গে। তিনি বলেন, রোজার আগে দাম বেড়েছে মুরগির। তবে গরুর মাংস ও খাসির মাংসের দাম আগের মতোই আছে। মুরগির মাংসের দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে বিক্রেতারা বলেন, বেশি দামে কিনি তাই বেশি দামে বিক্রি করি। আসলে আমরা যারা রাজধানীতে বাস করছি তারা এক প্রকার জিম্মি হয়ে যাচ্ছি।
রামপুরা বাজারে মুরগি ব্যবসায়ী তোফাজ্জল বলেন, রোজার সময় মুরগির দাম বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক। গত বছরও এ সময় মুরগির দাম বেড়েছিলো। তবে এর পেছনে কী কারণ তা জানা নেই এ বিক্রেতার।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১২ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৭
এসজে/জেডএস