শনিবার (২৭ মে) রাজধানীর কারওয়ানবাজার ও নতুনবাজার ঘুরে দেখা গেছে, ১ কেজির বেশি ওজনের দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩২০-৩৪০ টাকা। একইভাবে কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়ে পাকিস্তানি মুরগি ১৮০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকা, গরুর মাংস ৪৮০-৫০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুরগি ব্যবসায়ী সোহেল বাংলানিউজকে বলেন, ‘মুরগির আমদানি কম, তাই দাম বেশি। রমজানে মুরগির চাহিদাও বেশি থাকে। পাইকারি বাজারে মুরগির দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ১০ টাকা। বেশি দাম দিয়ে কিনলে বেশি দামে তো বিক্রি করতেই হবে’।
সব ধরনের মাছের দামও বেড়েছে। কেজিপ্রতি পাঙ্গাস ২০ টাকা বেড়ে ১৪০ টাকা, রুই ৩০ টাকা বেড়ে ২৩০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫ টাকা বেড়ে ১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ২০ টাকা বেড়ে ১৭০ টাকা, কই ৪০ টাকা বেড়ে ২১০ টাকা, ছোট গলদা চিংড়ি ১০০ টাকা বেড়ে ৭৫০ টাকা, বড় গলদা চিংড়ি ১ হাজার টাকা, শিং ৮০ টাকা বেড়ে ৭৫০ টাকা এবং পাবদা ১৩০ টাকা বেড়ে ৭৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ানবাজারের মাছ ব্যবসায়ী জুয়েল বাংলানিউজকে বলেন, ‘রমজানকে ঘিরে মাছের সংকট দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকায় মাছ কম আসছে। এজন্য দাম বেড়েছে’।
মাছ কিনতে আসা ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘শুক্রবার (২৬ মে) রুই মাছ কিনেছি ২০০ টাকা কেজি। আজ (শনিবার) কিনতে হলো ২৩০ টাকায়। এভাবে আর কতো দাম বাড়বে? প্রতিনিয়ত এভাবে দাম বাড়লে না খেয়ে মরার দশা হবে আমাদের। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেশি দামে মাছ কিনতে হচ্ছে, তাই দাম বেশি। কিন্তু আমাদের কি বেতন বাড়ছে? বেশি দাম দিয়ে কিভাবে আমরা পণ্য কিনবো?’
এদিকে কেজিপ্রতি মিনিকেট চাল ৩ টাকা বেড়ে ৫৪ টাকা, পাইজাম ১ টাকা বেড়ে ৪৮ টাকা, আতপ কাটারিভোগ ২ টাকা বেড়ে ৬৫ টাকা, ভালো কাটারিভোগ ৩ টাকা বেড়ে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ছোলার মূল্য ৯০ টাকা ও চিনির মূল্য ৭৫ টাকা। তবে তেলের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। রূপচান্দা ১ লিটার ১০৫ টাকা ও ৫ লিটার ৫১৫ টাকা এবং তীর ১ লিটার ১০২ টাকা ও ৫ লিটার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০-১৫ টাকা। প্রতি পিস বাঁধাকপি ৪০ টাকা ও মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা, প্রতি আঁটি পুদিনা পাতা ১০ টাকা এবং প্রতি কেজি পেঁপে ৩০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, বরবটি ৪৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, কাকরোল ৪০ টাকা, শশা ৩০ টাকা, বেগুন ৫০-৭০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৩২ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ২৫ টাকা, আলু ২০ টাকা ও চায়না রসুন ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ানবাজারে ক্রেতা ইঞ্জিনিয়ার রাজু আহমেদ বলেন, ‘গত সপ্তাহের চেয়ে সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়েছে। এভাবে রোজার আগেই সবকিছুর দাম বাড়লে সবার জন্য কষ্টকর হয়ে যাবে। এখনি সরকারকে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। না হলে সবকিছু সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাবে। ব্যবসায়ীরাও যেন দাম না বাড়ান, সেজন্য প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে’।
বাংলাদেশ সময়: ১ি৪৫৩ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৭
এসজে/আরআর/এএসআর