আর গত দুই সপ্তাহে দাম বেড়েছে কাঁচা পণ্য, মাছ, মাংস, চিড়া-গুড়সহ রমজানকেন্দ্রিক প্রায় সকল পণ্যের। কোনো কোনো পণ্যের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত।
ক্রেতাদের অভিযোগ, রমজানের আগ মুহূর্তে ইফতার ও সেহেরিকেন্দ্রিক পণ্যের দাম বেড়েছে। যা শুধু বেশি মুনাফার আশায় ক্রেতাদের জিম্মি করে বাড়ানো হচ্ছে।
তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত এক সপ্তাহ ধরেই বিভিন্ন পণ্যের দাম ওঠা-নামা করছে। যা গোড়ার দিকের মোকাম থেকে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। কিন্তু ক্রেতারা অযথাই দোষ দিচ্ছেন খুচরা ব্যবসায়ীদের।
নগরের বাজারগুলো ঘুরে জানা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ৫০ টাকার চিড়া ৬০ টাকা, ৭৫ টাকার ছোলা বুট ৮০-৮৫ টাকা, ৬৮ টাকার চিনি ৭০-৭২ টাকা, ৬৫ টাকার গুড় ৭০-৭৫ টাকা ও ৮০ টাকার মুড়ি ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আবার কাঁচা পণ্যের মধ্যে ২০ টাকার শশা ৩০ টাকা, ৩৫ টাকার টমেটো ৪৫-৫০ টাকা, ৫০ টাকার বেগুন ৬০ টাকা ও ৫০ টাকার কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে ৮০-৯০ টাকার রসুন ১০০-১২০ টাকা, আদা ৯০-১০০ টাকা ও শুকনো মরিচ ১০০-১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে মসুর, মুগ, বেসন, পেঁয়াজ ও আলুর দাম গত দুই সপ্তাহ ধরে একই রকম রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাবাজারের ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, মসুর ডাল প্রকারভেদে ৮০-১০০ টাকা, মুগ ১২০ টাকা, বেসন ১০০-১২০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৩২ টাকা, বিদেশি পেঁয়াজ ২০ টাকা ও দেশি রসুন ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে কিছুটা বাজার গরম রয়েছে দেশি মুরগি ও মাছেরও। কেজিপ্রতি দেশি মুরগি ৪০০-৪৪০ টাকা ও সোনালিকা মুরগি ২১০-২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ১ কেজির ওপরে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার টাকা দরে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতি কেজি কাতলা ৩০০ টাকা ও রুই মাছ ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
স্থিতিশীল রয়েছে গরু ও খাসির মাসের বাজার। পাশাপাশি খোলা সয়াবিন তেল লিটার প্রতি ৯০ টাকা এবং বোতলজাত ১০৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
নগরের আলেকান্দা এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান জানান, এসব পণ্যের অনেকগুলোরই চাহিদা রোজা শুরুর পর কমে যায়। ফলে প্রতি বছরই ৫ রোজার পর পণ্যের দাম কমে যায়। আবার ঈদের এক সপ্তাহ আগে মসলা, পোলাওয়ের চালসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়ে যাবে। যা ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে চিরাচরিত নিয়মে পরিণত হয়েছে।
তবে নগরের চৌমাথা বাজারের ব্যবসায়ী তরিকুল ইসলাম জানান, চাহিদা অনুসারে সরবরাহ না থাকায় রোজার আগে কিছু পণ্যের দাম বাড়ে। তবে তা অস্বাভাবিক হারে নয়। এজন্য খুচরো ব্যবসায়ীরা দায়ী নন, গোড়ার মোকামেই এগুলোর মূল্য নিয়ন্ত্রিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৭
এমএস/এএসআর