সোমবার (২৯ মে) রাজধানীর রায় সাহেব বাজার ও সুত্রাপুর বাজারে ক্রেতা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মাংসের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও কিছুটা বেড়েছে মাছের দাম।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৪৭৫ টাকা থেকে ৫৫০ টাকায়। খাসির মাংস ৭শ’ টাকা থেকে ৭৫০ টাকা ও দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৪শ’ টাকা কেজি।
রায় সাহেব বাজারে গরুর মাংস বিক্রেতা আব্দুল করিম মোল্লা বাংলানিউজকে বলেন, সিটি করপোরেশন নির্ধারিত দামেই বিক্রি হচ্ছে মাংস। এছাড়াও বাজার মনিটরিংয়ে সিটি করপোরেশন ও বিএসটিআইর ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম থাকায় বেশি দাম নেওয়ার সুযোগ নেই।
এদিকে সুত্রাপুর বাজারের মাছ বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, ইলিশের দাম কেজি প্রতি ৫০ থেকে ১শ’ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এছাড়া আকার ভেদে প্রতিটি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭শ’ টাকা থেকে ১২শ’ টাকা পর্যন্ত। গলদা ও বাগদা চিংড়ির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬শ’ টাকা থেকে ৭শ’ টাকায়। রমজানের আগে চিংড়ির দাম ছিল ৫৫০ টাকা থেকে ৬শ’ টাকায়। চাষের পাঙ্গাশ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা থেকে ১৫০ টাকায়। পাঙ্গাশের দাম বেড়েছে কেজিতে গড়ে ১৫ টাকা।
গরুর মাংসের ক্রেতা সাগর আহমেদ বলেন, সিটি করপোরেশন নির্ধারিত দামে মাংস বিক্রি হলেও মাছের দাম বেড়েছে। রমজানে মাছের চাহিদা কিছুটা বৃদ্ধি পায় বলেই দামও বেড়েছে।
রমজান উপলক্ষ্যে ২০১৭ সালের ২৩ মে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন মাংসের দাম নির্ধারণ করে ১ রমজান থেকে ২৬ রমজান পর্যন্ত নির্ধারিত দামে বিক্রির নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৭
এসই/এসআরএস/বিএস