বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এ বাজেট উপস্থাপন করেন।
গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা।
এ বছরের বাজেটে রাজস্ববোর্ড নিয়ন্ত্রিত কর থেকে আদায় করা হবে ২ লাখ ৪৮ ১শ’ ৯০ কোটি টাকা। রাজস্ব বোর্ড বর্হির্ভূত কর ব্যবস্থা থেকে ৮ হাজার ৬ শ ২২ কোটি টাকা। কর ব্যতিত প্রাপ্তি ৩১ হাজার ১৭৯ কোটি টাকা।
এদিকে গত অর্থবছরে এনবিআর-বহির্ভূত কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো ৭ হাজার ২৫০ কোটি টাকা এবং করবহির্ভূত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো ৩২ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। বিদেশি অনুদান ধরা হয়েছিলো ৫ হাজার ৫১৬ কোটি টাকা।
এবারের বাজেটে অনুন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৩৪ হাজার ১৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে অনুন্নয়ন রাজস্বব্যয় ২ লাখ ৭ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা। আভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ ৩৯ হাজার ৫শ ১১ কোটি। বৈদেশিক ঋণের সুধ ১ হাজার ৯শ‘ ৪৬ কোটি টাকা। অনুন্নয়ন মূলধন-ব্যয় ২৬ হাজার ৮ শ’ ৭৫ কোটি টাকা।
এবার জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৭.৪ শতাংশ ধরে ঘাটতি ১ লাখ ৬ হাজার ৭ শ ৭২ কোটি টাকা। অনুদান ব্যতিত ১ লাখ ১২ হাজার ২৭৬ কোটি টাকা। বৈদেশিক ঋণ ৪৬ হাজার ৪ শ’ ২০ কোটি টাকা।
গত বছরের বাজেটে জিডিপির ৫ শতাংশ ধরে ঘাটতি বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছিল।
এই বাজেট ঘোষণা করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, আগামী ২০৪১ এর লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদের ৮.১০ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। এ জন্য উৎপাদনের উপকরণ পুঞ্জিভূতকরণের পাশাপাশি এগুলোর উৎপাদনশীলতাও বাড়াতে হবে ব্যাপকভাবে।
তিনি বলেন, দিন এসেছে দলমত, হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে সকলে মিলে সামনে এগিয়ে চলার। আসুন, আমরা এখনই প্রস্তুতি নিই ২০৪১ সালের সমৃদ্ধ, সুখী ও শান্তিময় বাংলাদেশের জন্য।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০১৭
এসকে/জেএম