দাম বাড়তে বাড়তে ৫৫-৬০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া প্রতিকেজি চিনি এখন ৮০ টাকা। অবশ্য গত সপ্তাহেও যেখানে প্রতিকেজি চিনি ৭৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল তা চলতি সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।
শুক্রবার (০২ জুন) সকালে রাজধানীর কাওরান বাজার ও শুক্রাবাদ বাজার ঘুরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে চিনির দামের ঊর্ধ্বগতি সম্পর্কে জানা যায়।
চিনির মূল্যবৃদ্ধি সম্পর্কে বিক্রেতারা বলেন, রমজান শুরু আগে থেকেই চিনির দাম বাড়তে থাকে। এখনো চলমান রয়েছে। চাহিদা বেশি এবং সে তুলনায় দেশে কম উৎপাদন হওয়ার কারণে এমন দাম। এছাড়া প্রতি বছরই রমজানে চিনির মূল্য বৃদ্ধি পায়, এইটা নতুন কিছু না।
চিনির বাজারের মতোই অস্থিতিশীল রয়েছে ভারতীয় রসুন, ধনেপাতা ও মাছের বাজার।
যেখানে গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ভারতীয় রসুন বিক্রি হতো ২২০ টাকায় তা দাম বেড়ে হয়েছে ৩০০ টাকা।
এছাড়া গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতিকেজি ধনেপাতা ১০০ টাকা বাড়তি মূল্যে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ভারতীয় রসুন ও ধনেপাতার বাড়তি দাম সম্পর্কে ব্যবসায়ীরা বলছেন, এর চাহিদা রমজানে কয়েকগুণ বেড়ে গেছে, আর সেই তুলনায় যোগান নেই। এ কারণেই মূলত দাম বেড়েছে।
আমদানিগত সমস্যার কারণে বেড়েছে ভারতীয় রসুনের দাম।
অন্যদিকে গত সপ্তাহে মতো এ সপ্তাহেও মাছের বাজারের ঊর্ধ্বধারা অব্যাহত। ১০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি পাঙ্গাস মাছ ১৪০ টাকা, রুই মাছ ১৫০ টাকা এবং তেলাপিয়া মাছ ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া অন্য সব মাছের দাম গত সপ্তাহের মতোই রয়েছে।
ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতিকেজিতে ১০টাকা বৃদ্ধি পেয়ে এখনবিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। এছাড়া গরু মাংস প্রতি কেজি ৫০০ টাকা ও খাসির মাংস প্রতিকেজি ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য গত সপ্তাহেরই মতো রয়েছে। প্রতিকেজি ছোলা ৯০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৩০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ২৫ টাকা, দেশি রসুন ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ভোজ্যতেল দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
মাছ, মাংস ও চিনির বাজারে অস্বস্তি থাকলেও সপ্তাহের ব্যবধানে স্বস্তি এসেছে সবজির বাজারে। পটল ১০ টাকা কমে ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ১০ টাকা কমে ৩০ টাকা, জালিকুমড়া প্রতি পিস ১০ টাকা কমে ২০ টাকা, বেগুন ২০ টাকা কমে ৪০ টাকা কেজি, গাজর ১০ টাকা কমে ৫০ টাকা কেজি ও কাঁচামরিচ ২০ টাকা কমে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৮ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০১৭
এমএ/এসএইচ