শুক্রবার (০২ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টায় বেনাপোল স্থলবন্দরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবনের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
নৌমন্ত্রী বলেন, বন্দরের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও অটোমেশন চালু করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ স্থলবন্দরের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তী বলেন, এখানে যে উন্নয়ন কার্যক্রম হচ্ছে এবং আগামীতে যে উন্নয়ন কাজ হবে তা এখানকার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মতামত নেওয়া হবে। সবার সহযোগিতায় বেনাপোল বন্দর একটি মডেল হিসেবে বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিতি পাবে।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সচিব অশোক মাধব রায় বলেন, বেনাপোল বন্দরের প্রতি সরকারের নজর রয়েছে। পর্যায়ক্রমে এখানে সব ধরনের অবকাঠামো উন্নয়ন ও দক্ষ জনবল নিয়োগ করা হবে। এতে বাণিজ্যে গতিশীলতা ফিরে আসবে ও বাড়বে রাজস্ব আয়।
বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মো. শওকত হোসেন বলেন, স্থলপথে রাজস্ব আয়ের দিক থেকে বেনাপোল বন্দরের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। অবকাঠামো উন্নয়নে এপথে পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াতসহ আমদানি-রফতানি বাণিজ্য আরো বৃদ্ধি পাবে।
বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেন, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়নের দিক দিয়ে বেনাপোল বন্দর এখনও অনেক পিছিয়ে রয়েছে। প্রতিবছর ব্যবসায়ীরা এ বন্দর থেকে সরকারকে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব দিচ্ছে। তাই এই বন্দর আধুনিকায়নে সরকারকে আরো এগিয়ে আসতে হবে।
এসময় অনান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বেনাপোল বন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুর রউফ, বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ (বিজিবি) ৪৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফুল হক ও উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল হক মঞ্জু।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুস ছালাম, বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন, ভারত-বাংলাদেশ ল্যান্ডপোর্ট চেম্বার কমার্স সাব কমিটির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান, বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি ওমর শরীফসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৭ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০১৭
এনটি