এভাবেই ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে বাংলানিউজকে নিজের অভিমত ব্যক্ত করেছেন মুস্তাফিজ আহমেদ নামে এক ব্যবসায়ী।
শনিবার (০৩ জুন) দুপুরে মোহাম্মদপুর থেকে কুড়িল বিশ্বরোডগামী বিআরটিসির একটি বাসে বসে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথাগুলো বলেন তিনি।
মুস্তাফিজ আহমেদ বলেন, অর্থমন্ত্রী অনেক বড় এবং উচ্চবিলাসী বাজেট ঘোষণা করেছেন বলে সবাই বলছে। আবার অনেক অর্থনীতিবিদ বলেছেন এটা নাকি নির্বাচনী বাজেট। আমরা তো এতো কিছু বুঝি না। তবে বাজেট সম্পর্কে যা বুঝি তাতে বুঝা যায় এবারের বাজেটে সরকার আমাদের ওপর ট্যাক্সের চাপ বাড়িয়েছে। এই কাজটি সরকার নিজের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য করেছে নাকি জনগণের জন্য করেছে তা সময় আসলে বলে দেবে।
তিনি বলেন, সরকার দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করবে সত্য কথা। মানুষকে কষ্ট দিয়ে উন্নয়ন নয় তা সরকারকে বুঝতে হবে। তাই এই বাজেটে সরকার যে পরিমাণে ট্যাক্স বা ভ্যাট নেবে বলে প্রস্তাব করা হয়েছে তা নিয়ে অনেক চিন্তাভাবনার প্রয়োজন। এমন যেন না হয় সরকার অনেক টাকার মালিক হচ্ছেন আর মানুষ না খেয়ে মরছে।
বাসে বসে থাকা লিংকরোডগামী আরেক যাত্রী হারুন শেখ বাংলানিউজকে বলেন, এবারের বাজেট অনুযায়ী এক লাখ টাকার ওপর সরকার ৮শ’ টাকা আবগারি শুল্ক কাটবে। সরকারের এ সিদ্ধান্তে মানুষ ক্ষুব্ধ হচ্ছে। হঠাৎ করে সরকারের এ ধরণের সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি। এতে আমরা যারা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আছি তাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমরা আমাদের আয়ের অল্প কিছু অংশ ছেলে মেয়েদের লেখা পড়ার জন্য ব্যাংকে রেখে দেই। কিন্তু এটিও এখন সম্ভব না।
তিনি বলেন, এ বাজেটে অতিরিক্ত ট্যাক্স, ভ্যাট ও আবগারি শুল্কসহ অসংখ্য জন-বিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে মোটা অঙ্কের ব্যবসায়ী যারা আছেন তারা লাভবান হবেন। কিন্তু নিম্নবিত্তদের জন্য এই বাজেটে কিছু নেই।
গত (০১ জুন) জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ৪ লাখ ২৬৬ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন বৃহৎ আকারের বাজেট এর আগে আর ঘোষণা করা হয়নি। তবে বিভিন্ন মহল থেকে ইতি মধ্যেই এই বাজেট বাস্তবায়ন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য ২০১৬-২০১৭ বছরের বাজেটের মাত্র ৭৮ শতাংশই বাস্তবায়ন করতে পেরেছিলো সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৮ ঘণ্টা জুন ০৪, ২০১৭
এমএ/বিএস