ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

নির্ধারিত দামেই বিক্রি হচ্ছে গরু-খাসির মাংস

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৭ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০১৭
নির্ধারিত দামেই বিক্রি হচ্ছে গরু-খাসির মাংস নির্ধারিত দামেই বিক্রি হচ্ছে গরু-খাসির মাংস-ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: রমজান শুরুর আগেই নিত্যপণ্যের বাজারে শুরু হয় অস্থিরতা। আর এচিত্র প্রতি বছরই দেখা যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। মাছ, শাক-সবজি থেকে শুরু করে সব কিছুই চড়া দামে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

রোববার (০৪ জুন) অষ্টম রোজায় নতুন করে দাম না বাড়লেও আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব পণ্য। রাজধানীর কারওয়ানবাজার ও মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।


 
তবে রোজার আগে সিটি করপোরেশনের বেধে দেওয়া দামেই বিক্রি হচ্ছে গরু ও খাসির মাংস। গরু প্রতি কেজি ৪৭৫ টাকা, খাসি ৭২৫ টাকা আর ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬২৫ টাকা কেজি দরে।
 
কারওয়ানবাজারের প্রতিটি মাংসের দোকানেই সিটি করপোরেশন নির্ধারিত মূল্য তালিকা টাঙানো রয়েছে। কাজেই বাড়তি দাম নেওয়ার সুযোগ নেই। বেধে দেওয়া দামও সাধারণ মানুষের সাধ্যের বাইরে বলে মনে করেন মাংস বিক্রেতা বাদল দেওয়ান।
 
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘মাংস বিক্রি নেই। যে দাম এতে সবাই কিনতে পারে না। আগে যে ক্রেতা দুই কেজি মাংস কিনতেন এখন সেই ক্রেতা  এককেজি নিতেই হিমশিম খান। আমরা কি করবো। একটা গরু কিনতে গেলে পথে পথে চাঁদা দিতে হয়। দামও বেশি। এখন আরে আগের মতো মাংসে ব্যবসা নেই। তারপরেও বিক্রি করতে হচ্ছে। ’
 
রোজার মাসে মাছের দাম কিছুটা হলেও স্বস্তির মধ্যেই রয়েছে। এক জোড়া ইলিশ (প্রতিটি ৫০০ গ্রাম) ৬০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়। এছাড়া চাষের পাবদা মাছ ৫০০ টাকা, রুই ছোট ৩৫০ টাকা, বড় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গলদা চিংড়ি ৮০০ টাকা কেজি, আর দেশি চিংড়ি ৭৫০ টাকা কেজি। টেংরা মাছ প্রতি কেজি ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
 
ডাল, তেল বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। প্রতি কেজি মসুর ডাল দেশি ১১৫-১২৫ টাকা। ভারতীয় মসুর ডাল ৭৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮৪ টাকা কেজি দরে। মুগ ডাল ১২০ টাকা থেকে ১৩০ টাকার মধ্যেই বিক্রি হচ্ছে। চালের দামও স্থিতিশীল। আগের বাড়তি দামে প্রতি কেজি মোটা স্বর্ণা চাল ৪৫ টাকা, পারিজাত ৪৩ থেকে ৪৫ টাকা, মিনিকেট ৫২ থেকে ৫৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বিআর-২৮ বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে  ৫০ টাকা, নাজিরশাইল ৫৪ থেকে ৫৬, পাইজাম ৪৮ থেকে ৫০ টাকার মধ্যেই বিক্রি হচ্ছে। ৫ লিটার ভোজ্য তেলের বোতল ব্র্যান্ড ভেদে ৫০০ টাকা থেকে ৫১০ টাকা। আর প্রতি লিটার ১০০ থেকে ১০৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
 
রসুন মানভেদে ভারতীয় রসুন প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা। আর চায়না রসুন ৪২০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা।
 
শসা প্রতি কেজি ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা, পটল ২০ টাকা, বেগুণ ৭০ টাকা কেজি, চিচিংগা ২৫-৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ টাকা কেজি, ঝিংগা ৩০ টাকা, পুদিনা পাতা প্রতি কেজি ১০০ টাকা আর ধনে পাতা প্রতি কেজি ২০০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা কেজি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৭ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৭
এসএম/বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।