রোববার (০৪ জুন) দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে কোস্টাল অ্যাসোসিয়েশন ফর সোসায়ল ট্রান্সফরমেশন ট্রাস্ট'র আয়োজিত ‘ব্লু-ইকোনমি বাংলাদেশ এবং বে-অব বেঙ্গল রিজিওনাল কো-অপারেশন’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
দীপু মনি বলেন, ব্লু ইকোনমি আমাদের কাছে খুবই নতুন একটি বিষয়।
তিনি বলেন, সঠিক রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আমরা কোস্টাল এলাকাগুলোতে বনায়নসহ সুন্দরবনকে রক্ষা করে যাচ্ছি। ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ থেকে আমরা ১৫ হাজার মেগাওয়াটে পৌঁছেছি। আমাদের দেশের ও মানুষের চাহিদার কথা বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়। ব্লু ইকোনমির ক্ষেত্রেও আমরা একই ধরণের কৌশল অবলম্বণ করবো।
ব্লু ইকোনমির ক্ষেত্রে আরো বেশি গবেষণার প্রয়োজন আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের সাগরে কি পরিমাণ সম্পদ রয়েছে এবং সেগুলোর কি পরিমাণ আমরা ব্যবহার করতে পাড়বো সে সব বিষয়ে গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। সাগর থেকে সম্পদ আহরণে পরিবেশগত সমস্যার বিষয়গুলোকেও আমদের ক্ষতিয়ে দেখতে হবে।
সেমিনারে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, ব্লু ইকোনমি কাজে লাগানোর জন্য সরকার ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে। তবে বিষয়টি অনেক জটিল একটি কাজ। অনেক মন্ত্রণালয়কে এক সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার অভিজ্ঞতা আমদের তেমন নেই। আমাদের এই বিষয়ে তেমন কিছু জানাও ছিল না। কিন্তু আমরা এখন ধীরে ধীরে এ বিষয়ে অগ্রসর হচ্ছি। এখন থেকে গভীর সাগরে মাছ আহরণের কাজ চলবে।
সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক লাইলুফার ইয়াসমিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম সাহাদাত হোসেন ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আফরোজা পারভিন বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা জুন ০৪, ২০১৭
এমএ/এএটি/বিএস