সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ফ্যাশন হাউজগুলো কটন, খাদি, ব্যাক্সি ফেব্রিক্স, সিল্কসহ বিভিন্ন কাপড়ের ওপর নানা নকশা আর কারুকাজের পোশাক এনেছে এবার। দেশীয় কাপড়ে, দেশীয় নকশায় নিন্ম মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে উচ্চবিত্ত পর্যন্ত সব শ্রেণীর ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখেই পণ্যের পসরা সাজিয়েছেন আজিজ সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ীরা।
কোনো কোনো ফ্যাশন হাউজ জোর দিয়েছে সম্পূর্ণ হাতের কাজের ওপর। কোনোটা আবার প্রিন্টের ওপর। কোনো কোনো ফ্যাশন হাউজ আবার মিক্সড ডিজাইনের পোশাক এনেছে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে দাম বেশি ধরা হয়েছে সম্পূ্র্ণ হাতের কাজে তৈরি করা পোশাকে।
জানা গেছে, ছোটদের পাঞ্জাবি-ফতুয়া-কামিজ, বড়দের পাঞ্জাবি, থ্রি পিস, টু পিস, শাড়ি এসবই বেশি টানছে।
ঐতিহ্য’র বিক্রয়কর্মী ঝন্টু পাল বাংলানিউজকে বলেন, তারা লিনেন, নরসিংদীর তাঁতের ওপর প্রিন্ট, এমব্রয়ডারি, হাতের কাজ করেছেন। এরা বড়দের পাঞ্জারি বিক্রি করছেন ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ৩৫০ টাকার মধ্যে। আর ছোটদের পাঞ্জাবি দিচ্ছেন ৬শ ৫০ টাকা থেকে ৭শ ৫০ টাকায়।
ফ্যাশন হাউজ ABRU -এর ম্যানেজার মো. হাবিবুর রহমান জানান, তারা কটন ও লিনেনের পাঞ্জাবি দিচ্ছেন ১ হাজার ৩শ ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ৪শ ৫০ টাকায়। শার্ট বিক্রি করছেন ১ হাজার ১শ ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ৩শ ৫০ টাকায়।
এছাড়া ছেলেদের জিন্স, গ্যাবার্ডিন ও মখমলের প্যান্টও বিক্রি করছে তারা। দাম ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮০ টাকা থেকে ১ হাজার ৫শ ৮০ টাকা।
অন্যতম ফ্যাশন হাউজ দেশাল’র কর্মকর্তা মো. মোহসীন জানান, সূতি কাপড়ের ওপর সম্পূর্ণ কাজ করা তাদের শাড়িটির দাম পড়ছে এবার ৩০ হাজার টাকা। তবে সর্বনিন্ম ১ হাজার ১ শ টাকার শাড়িও ফ্যাশন হাউজটি ঈদ মার্কেটে এনেছে।
আজিজ সুপার ঘুরে দেখা গেছে, অনেকেই ঈদ উপলক্ষে ৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ও দিচ্ছে। ৩শ ৪০ টাকা থেকে ৫শ ৫০ টাকায় মেয়েদের টপ, পাঞ্জাবি ৫শ টাকায় আর শাড়ি দিচ্ছে ৬শ টাকায়।
মো. মোহসীন বলেন, ধীরে ধীরে বেচা-কেনা জমে উঠছে। তবে ১০ রোজার পর ভিড় বেড়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করছেন তারা।
মৌমিতা জান্নাত নামের এক ক্রেতা বলেন, কিছু কাপড় তিনি এখনই কিনে নিচ্ছেন। কেননা, কয়েকদিন পর ভিড় বেড়ে যাবে। তখন বেছে বেছে কেনাও কষ্টকর হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০৪ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১৭
ইইউডি/জেএম