গত অর্থবছরের একই সময়ে ৫৮ হাজার ৭৬ কোটি টাকার এডিপি বাস্তবায়িত হয়েছিলো। গত বছরের ১১ মাসে এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিলো ৬১ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
মঙ্গলবার (০৬ জুন) রাজধানীর শেরে বাংলানগরে এনইসি-২ সম্মেলন কক্ষে একনেকের সভায় পরিকল্পনা মন্ত্রী এসব তথ্য উপস্থাপন করেন।
আইএমইডি প্রতিবেদনে দেখা যায়, ৫৭টি মন্ত্রণালয়-বিভাগের মধ্যে এডিপি বাস্তবায়নে এগিয়ে বাণিজ্য ও ধর্মমন্ত্রণালয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে মোট বরাদ্দ ছিলো ৩৭৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১১ মাসে খরচ হয়েছে ৩৬২ কোটি টাকা। বাস্তবায়নের হার ৯৬ দশমিক ৯২ শতাংশ।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে মোট বরাদ্দ ছিলো ৩৬০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৩৩৮ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। এই মন্ত্রণালয়ে বাস্তবায়ন হার ৯৪ শতাংশ।
জনপ্রশাসন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন গতি মন্থর। জনপ্রশাসনে ১১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিলো, ব্যয় হয়েছে মাত্র ৪০ কোটি টাকা। এই মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নের হার ৩৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ। শ্রম মন্ত্রণালয়ে এডিপি বাস্তবায়ন হার মাত্র ৩৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ। ২১৩ কোটি টাকার মধ্যে ৭২ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।
১১ মাসে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনে (বিপিএসসি) এক আনাও খরচ হয়নি। এই বিভাগে মোট বরাদ্দ ছিলো মাত্র ৫ কোটি টাকা।
অন্যদিকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, আইন ও বিচার, প্রবাসী কল্যাণ, প্রতিরক্ষা, বস্ত্র ও পাট, বিবিএস, রেলপথ, সেতু বিভাগ ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের এডিপি বাস্তবায়ন ৫০ শতাংশের নিচে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০১৭
এমআইএস/জিপি