ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কার্গো পণ্য পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা নয়, হাইরিস্ক বলেছে ইইউ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৫ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০১৭
কার্গো পণ্য পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা নয়, হাইরিস্ক বলেছে ইইউ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন (ফাইল ফটো)

ঢাকা: ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশে কার্গো পণ্য পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি জানিয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ইইউ বলেছে ‘বাংলাদেশ ইজ এ হাইরিস্ক কান্ট্রি’- এদেশের কার্গো হচ্ছে হাইরিস্ক কার্গো।

মঙ্গলবার (০৬ জুন) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের উপর ‘কার্গো নিষেধাজ্ঞা’ আরোপ করা হয়নি। ইইউ হাইরিস্ক কান্ট্রি ডিক্লেয়ার করেছে।

কিন্তু এ ব্যাপারে আমাদের কাছে কোনো চিঠিপত্র আসেনি। অন্যদের কাছে গেছে কি না তাও জানা নেই।

তিনি বলেন, আমার কাছে নিষেধাজ্ঞা কোনো বিষয় নয়, হাইরিস্ক কার্গো হিসেবে ডিক্লেয়ার করেছে এটাই বিষয়।

সোমবার (০৫ জুন) সিভিল এভিয়েশন অথরিটির চেয়ারম্যানের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের বৈঠকে হাইরিস্ক কান্ট্রি হওয়ার ফলে কার্গো পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে স্ক্যানিংসহ তিনটি বিকল্প ব্যবস্থার বিষয়ে কথা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ইইউ রেগুলেশন অনুযায়ী দ্বিতীয়বার স্ক্যানিংয়ের ব্যাপারে বিমানকে তারা চিঠি দিয়েছে। এটা কেবল এয়ার কার্গোর ক্ষেত্রে নয়, শিপিংয়ের ক্ষেত্রেও তাই।

তিনটি বিকল্প হলো, এক্সপ্লোসিভ ডিটেকটিভ সিস্টেম (ইডিএস) দ্বারা সব কার্গো ও মেইল শতভাগ তল্লাশি করা, শতভাগ এক্সপ্লোসিভ ট্রেস ডিটেকশন (ইটিডি)।

এসব বিকল্প সম্পর্কে বিমানমন্ত্রী বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ইডিএস মেশিন কিনেছি এবং শিপমেন্টের অপেক্ষায় আছে। পরিদর্শনের জন্য ১৯ জুন আমাদের টিম যাচ্ছে। আশা করছি, জুলাই বা আগস্টের প্রথম সপ্তাহে এসে যাবে। ইডিএস এলে আমরা কার্গোতে দিয়ে দেব। আমাদের স্ক্যানিংয়ের ক্ষেত্রে অসুবিধা নেই।

দ্বিতীয়ত বিকল্প হিসেবে বলেন, ইটিডিতে যেটা বলেছে, এটা অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। কারণ একেকটা ধরে ধরে করতে হয়। আমরা বলেছি, এটা করা সেভাবে সমীচীন হবে না।
 
তৃতীয়টি হলো, শতভাগ স্ক্যানিং। আমাদের স্ক্যানিং মেশিন আছে। র‌্যাব ও এপিবিএন ডগ স্কোয়াড দিয়ে কাজ করছে। দু’এক সপ্তাহের মধ্যে পরিপূর্ণ হবে। আমরা ডগ স্কোয়াড দিয়ে স্ক্যানিং করাচ্ছি।

তিনটি শর্তের মধ্যে একটি দ্রুত সম্পন্ন করতে পেরেছি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আর একটা হয়তো দু’মাস সময় লাগবে। শর্তপূরণ না করলে কী হবে- এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, যদি আমরা ইডিএস বা তিনটি শর্ত পূরণ করতে না পারি তখন চার্জ করবে, কস্ট বেড়ে যাবে। পণ্য যখন যাবে তখন থার্ড কান্ট্রিতে ইডিএস ইন্সপেকশন হবে। তার জন্য দশমিক ৪০ টাকা চার্জ কাটা পড়বে।
 
‘একটা কথা বলতে চাই, এই মুহূর্তে আমাদের প্রস্তুতি আছে। হাইরিস্ক কান্ট্রি হলে আগাম জানাতে হবে। আমরা ইইউকে জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলতে। আশা করি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কথা বলবে। ’

তিনি বলেন, এটাকে কোনো নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়নি। কতগুলো শর্ত দিয়েছে। আজকেও দেখেছি ইইউ জিএসপির ব্যাপারে বাংলাদেশকে ওয়ার্নিং দিয়েছে। এ ধরনের বিষয়গুলোতো আছেই। আমরা হাইরিস্ক কান্ট্রি হয়ে আছি। আমরা কেবল একা না, কুয়েতও আছে। এর বাইরেও সোমালিয়া, ইজিপ্ট, ইয়েমেন তারা রেসটিকটেড করে দিয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, কার্গো পরিবহনের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা বিমানের ওপর নয়, দেশের ওপর আঘাত। এটা রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে। আমাদের পক্ষ থেকে যেটুকু করা দরকার তা করছি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪১ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০১৭
এমআইএইচ/ওএইচ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।