তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করে সরকার ব্যবসায়ী-জনগণ কাউকে খুশি করতে পারেনি। গতানুগতিক এ বাজেটে মৌলিক কোনো পরিবর্তনও হয়নি।
বুধবার (৭ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে ইকোনোমিক রির্পোটার্স ফোরাম (ইআরএফ) ও গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলন আয়োজিত বাজেটোত্তর মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
এমএম আকাশ বলেন, অর্থমন্ত্রীর জীবনের শ্রেষ্ঠ ও সবচেয়ে বড় এ বাজেট ঘোষণা পর কোনো কোনো অর্থনীতিবিদ বলেছেন অনেক বড় বাজেট। আবার কেউ কেউ বলেছেন তেমন বড় বাজেট হয়নি। আবার কেউ কেউ বলেছেন সবচেয়ে নিকৃষ্ট বাজেট।
তিনি বলেন, সরকার ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি পূরণে বরাদ্দ রেখেছে। আবার ব্যাংক থেকে ঋণ নেবে। ব্যাংকিং খাতে খেলাপি সমস্যা সমাধান করতে না পারলে যুগ যুগ ধরে মূলধন ঘাটতি যোগান দিয়ে যাবে। ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৭৩ হাজার কোটি টাকা। অবলোপন করা হয়েছে ৪৫ হাজার কোটি টাকা।
এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ৬ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। যা এবার ঘোষিত বাজেটের দেড়গুণ। যারা পাচার করছে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হোক। অর্থমন্ত্রী বারবার জেলা বাজেট বাস্তবায়নের কথা বললেও সেখান থেকে পিছু হটেছেন। কারণ জেলা বাজেট জেলার জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে করতে হবে। কিন্তু করা হয়েছিল আমলাদের নিয়ে।
১১ মাসে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটের ৬৫ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাকি ৩৫ শতাংশ কীভাবে জুন মাসে বাস্তবায়ন সম্ভব। কোনো পরিকল্পনা না করে বাজেট ঘোষণা করলে এভাবেই চলবে।
পোশাক শ্রমিকরা রেশন ও ডরমেটরির দাবি করেছে। সরকার তা দিতে পারেনি উল্লেখ করে আকাশ বলেন, পোশাক কারখানার মালিকদের কাছ থেকে রপ্তানির ৩ শতাংশ নেওয়া হলেও সেই টাকা ব্যবহার করা হচ্ছে না। কোথায় কীভাবে আছে তাও কেউ জানে না। পোশাক কারখানার মালিকরাও সেটি জানার অধিকার রাখেন।
বিশ্বব্যাপী তেলের দাম কমলেও বাংলাদেশে নামমাত্রকমানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, শেভরন চলে যাওয়ায় তা কিনে নিচ্ছে চীন। পেট্রোবাংলা বিপুল পরিমাণ লাভ করলেও সরকার শেভরন কেনার আগ্রহ দেখায়নি। এতে সরকারের মধ্যে দেশপ্রেমের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলনের সহ-সভা প্রধান আসগর আলী সাবরীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন, ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান, প্রথম আলোর বিজনেস এডিটর শওকত হোসেন মাসুম। আলোচনাপত্র উপস্থাপন করেন গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক এআর আমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০১৭
এসই/এএ