ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাজেটের সুষ্ঠু বাস্তবায়নে এনজিওকে সম্পৃক্ত করার সুপারিশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৩ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০১৭
বাজেটের সুষ্ঠু বাস্তবায়নে এনজিওকে সম্পৃক্ত করার সুপারিশ মতবিনিময় সভা/ছবি: কাশেম হারুন

ঢাকা: বাজেটের বরাদ্দ যাতে সুষ্ঠুভাবে ব্যবহৃত হয় সে জন্য সরকারি সংস্থার পাশাপাশি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাকে (এনজিও) সম্পৃক্ত করার সুপারিশ করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম।

বুধবার (০৭ জুন) মহাখালী ব্র্যাক সেন্টারে ‘জাতীয় বাজেট ২০১৭-১৮: প্রত্যাশা, প্রাপ্তি ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ সুপারিশ করেন।

তিনি বলেন, সময়মত বাজেট বরাদ্দ দিতে না পাড়া বড় ধরনের দুর্বলতা।

আমাদের এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধি করা দরকার। প্রশাসনে কোনো  ইনসেনটিভ নেই। ভালো কাজের স্বীকৃতি দেওয়া হয় না। প্রশাসনিক কর্মকর্তা যারা প্রকল্পে কাজ করেন, তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে ট্রেনিংয়ের পাশাপাশি  ইনসেনটিভও দিতে হবে।

মির্জ্জা আজিজুল বলেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে টাকার তুলনায় বাজেট বরাদ্দ বেড়েছে। কিন্তু আনুপাতিক হারে ২০১২-১৩ অর্থবছরের তুলনায় এ বরাদ্দ কমেছে। একদিকে বাজেটের আকার বেড়েছে, অপরদিকে ব্যয়ের মাত্রা অধিক হারে কমেছে। বেশিরভাগ খাতেই এ সমস্যা বিদ্যমান।

এছাড়া সরকারের মেগা প্রকল্পে ব্যয় বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হলো সময় মত কাজ শেষ করতে না পাড়া। প্রকল্প দীর্ঘায়িত করায়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইকুইপমেন্টের দামও বেড়ে যায়। অন্যটি হলো, প্রকল্প পরিচালকরা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দক্ষ না হওয়ার কারণ। যার কারণে ২ থেকে ৩ বছরের কাজ শেষ করতে ৫-৬ বছর লেগে যায়।

অবকাঠামোগত উন্নয়নে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ কিভাবে কাজ করবে তার একটি গবেষণা পত্র সরকারের কাছে দেওয়ার প্রস্তাব জানান এ অর্থনীতিবিদ।

ব্র্যাক ও ইনস্টিটিউট ফর ইনফরমেটিক্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইআইডি) যৌথ উদ্যোগে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেটিকস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইআইডি) প্রধান নির্বাহী সাঈদ আহমেদ ও ব্র্যাকের গবেষণা ও মূল্যায়ন বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল বায়েস।

এ সময় অধ্যাপক বায়েস বাজেটের ওপর কয়েকটি সুপারিশ তুলে ধরে বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট যতোটা প্রবৃদ্ধিমুখী ততটা উন্নয়নমুখী নয়। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে আরও বেশি বরাদ্দ প্রয়োজন।

শিক্ষায় মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২ দশমিক ২ শতাংশ বরাদ্দ হয়েছে। তা বৃদ্ধি করে সর্বনিম্ন ৪ শতাংশ করা উচিত।

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো দরকার জানিয়ে পুষ্টি খাতে আলাদা বরাদ্দ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি স্বাস্থ্য সেবায় সরকার ও এনজিও'র অংশীদারিত্ব  বৃদ্ধিরও আহ্বান জানানো হয়।

তিনি বলেন, আমরা মনে করি, ভ্যাটের হার ১৫ শতাংশের নিচে হলে ভালো হয়। ব্যাংক হিসাবের ওপর যে আবগারি শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে, আমরা চাই তা তুলে নেওয়া হোক।

সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন-ব্র্যাকের মাইক্রোফিন্যান্স ও টিইউপি কর্মসূচির পরিচালক শামেরান আবেদ, ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচির পরিচালক ড. শফিকুল ইসলাম, ব্র্যাকের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কর্মসূচির প্রোগ্রাম হেড মো. আরিফুল আলম।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৭ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০১৭
এএম/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।