বৃহস্পতিবার (০৮ জুন) বিকেলে সিলেট মদন মোহন কলেজ সরকারিকরণ উপলক্ষে সরকারের কাছে কলেজের সম্পত্তি হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘২০১২ সাল থেকে এ বিষয়টি ঝুলে আছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সাবেক মেয়র মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ প্রমুখ।
পরে কলেজের সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি দলিলমূলে সিলেট সদর সাব রেজিস্ট্রার আবু বকরের কাছে হস্তান্তর করেন কলেজের অধ্যক্ষ ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, মদন মোহন কলেজ সরকারিকরণের দাবি ছিল বহুদিনের। গত বছরের ২১ জানুয়ারি কলেজের দু’দিন ব্যাপী ৭৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় অনেকের দাবির প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, যেখানে অর্থমন্ত্রী-শিক্ষামন্ত্রী আছেন, সেখানে এ কলেজকে সরকারিকরণ করতে কোনো অসুবিধা নেই।
প্রধানমন্ত্রী তখন বলেছিলেন, সরকার প্রত্যেক উপজেলার একটি কলেজ ও একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে সরকারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পরে শিক্ষা অধিদফতরের কর্মকর্তারা মদন মোহন কলেজ পরিদর্শন করেন। তারপর জাতীয় পর্যায়ে কলেজ সরকারিকরণের তালিকায় এ কলেজের নাম অন্তর্ভূক্ত হয়।
১৯৪০ সালের জানুয়ারিতে সিলেট শহরের লামাবাজারে এক বিঘা জমিতে মদন মোহন কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। এ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মোহিনী মোহন দাস ও গোপেন্দ্র মোহন দাস। তারা তাদের বাবা মদন মোহনের স্মৃতি রক্ষার্থে ১ বিঘা জমি ও নগদ ১২ হাজার টাকা দিয়ে কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। ওই বছরের ১৫ জুলাই কলেজের নামে ভূমির দলিল ও নগদ টাকা আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পাদিত হয়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এ কলেজে বর্তমানে অনার্স ও মাস্টার্সের ৯/১০ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১৭
এনইউ/এএসআর