ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কমেছে গরু ও মুরগির মাংসের দাম

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০০ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০১৭
কমেছে গরু ও মুরগির মাংসের দাম রাজধানীর বাজারে কমেছে গরুর মাংসের দাম- ছবি- দিপু মালাকার

ঢাকা: রাজধানীর বাজারগুলোতে সপ্তাহ ব্যবধানে কমেছে গরু ও মুরগির মাংসের দাম। আর খাসির মাংস সিটি করপোরেশনের বেঁধে দেওয়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। 

শুক্রবার (০৯ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, পুরান ঢাকার ইংলিশ রোডের রায়সাহেব বাজার ও নতুনবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।  

কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের তুলনায় গরুর মাংস কেজি প্রতি ২০-৩০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৪৭০-৪৮০ টাকায়।

ব্রয়লার মুরগি ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৫০ টাকা। কর্ক (লাল) আগের সপ্তাহের মতোই ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা ও দেশি মুরগি কেজি ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
 
তবে খাসির মাংস সিটি করপোরেশনের বেঁধে দেওয়া দামেই বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারে কথা হয় ছুটির দিনে বাজার করতে আসা রুবেল মাহমুদের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে গরু ও ব্রয়লার মুরগির মাংসের দাম কিছুটা কমেছে। তবে সবজি, তেল ও মাছের বাজার আগের মতো আছে। এগুলোর দাম কিছুটা কমলে আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের জন্য ভালো হয়।  

গরুর মাংসের দাম কমার বিষয়ে এ বাজারের মাংস বিক্রেতা নজরুল বলেন, গত সপ্তাহে মাংসের দাম বেশি ছিলো। আজ কম। এটা হলো বাজার যখন যেমন চলবে তখন তেমন বিক্রি হবে। এমনও হতে পারে আগামীকাল থেকে আবার দাম বেড়ে গেছে। নির্ধারিত দামেই বিক্রি হচ্ছে খাসি- জি এম মুজিবুরমুরগি বিক্রেতা রাফসান বলেন, বুধবার থেকে পাইকারি বাজারে মুরগির দাম কমেছে। এজন্য বাজারেও দাম কম। পাইকারি বাজারের কারণে ওঠানামা করে। তাই পাইকারি বাজার নিয়ন্ত্রণ থাকলে সব ঠিক।

গত সপ্তাহের মতো সবজির দাম অপরিবর্তীত রয়েছে। চলতি সপ্তাহে প্রতিকেজি পটল ৪০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, ধুন্দুল ৪০ টাকা, ঝিঙা ৪৫ টাকা, করলা ৪৫ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, কচুরলতি ৪৫ টাকা, চাল কুমড়া ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, আলু ১৮ টাকা, পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

দেশি পেঁয়াজ কেজি ২৮ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ২৫ টাকা, চীনা রসুন ৪শ’ টাকা, দেশি রসুন ১২০ টাকা, চীনা আদা ১২০ টাকা এবং ক্যারালা আদা ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে লেবু হালি ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া ৫ লিটারের ভোজ্যতেলের বোতল ব্র্যান্ড ভেদে ৫০০-৫১০ টাকা, প্রতি লিটার ভোজ্যতেল ১০০-১০৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
 
মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকারভেদে রুই ২৫০-৩৫০ টাকা, সরপুঁটি ৩৫০-৪৫০ টাকা, কাতলা ৩০-৩৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০-১৮০ টাকা, সিলভার কার্প ২০০-২৫০ টাকা, কৈ ৩৫০-৪০০ টাকা, পাঙ্গাস কেজি ১৫০ টাকা, আকারভেদে চিংড়ি ৪০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

অন্যদিকে চলতি সপ্তাহে চালের দামও স্থিতিশীল রয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মোটা স্বর্ণা প্রতিকেজি ৪৫ টাকা, পারিজা ৪৪-৪৫ টাকা, মিনিকেট (ভালো মানের) ৫৬ টাকা, মিনিকেট (সাধারণ) ৫২-৫৪ টাকা, বিআর২৮ ৪৮-৫০ টাকা, সাধারণমানের নাজিরশাইল ৫৪ টাকা, উন্নতমানের নাজিরশাইল ৫৬ টাকা, পাইজাম চাল ৪৮-৫০ টাকা, বাসমতি ৫৬ টাকা, কাটারিভোগ ৭৬-৭৮ টাকা, পোলাও চাল পুরাতন ১০০ টাকা, নতুন ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১৭
এসজে/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।