জ্যৈষ্ঠের শেষ প্রান্তে আমের দাম ক্রেতাদের নাগালে চলে আসায় বিক্রি ভালো বলে জানান বিক্রেতারা। তাদের দাবি, ফলে ফরমালিন নেই।
খুলনা বিভাগের প্রধান ফলের পাইকারি বাজার কদমতলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসব ফল আসে। সেখান থেকে খুচরা বিক্রেতার হাত হয়ে আসছে ক্রেতার নাগালে।
কদমতলার আড়ৎ ঘুরে দেখা গেছে, আড়ৎ আম দিয়ে ভরা। জমে উঠেছে কেনাকাটা। দিন-রাত বিভিন্ন স্থান থেকে ছোট-বড় ব্যবসায়ীরা আম কিনতে আসছেন আড়তে।
খুলনার ফল আমদানিকারক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর কবির শনিবার (১০ জুন) দুপুরে বাংলানিউজকে বলেন, দেশে এবার আমের ব্যাপক ফলন হয়েছে। যে কারণে খুলনার আড়ৎগুলো আমে ভরা। দামও ক্রেতার নাগালের মধ্যে।
তিনি জানান, এবারও খুলনার ফলের বাজার বিষমুক্ত। পাইকারি ছাড়াও খুচরা আম কেনা যাচ্ছে আড়ৎ থেকে।
তিনি আরও জানান, খুলনার কদমতলায় ১০০টি ফলের আড়ৎ রয়েছে। রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সাতক্ষীরা, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, দিনাজপুর ও নওগাঁসহ বিভিন্ন জেলা থেকে গোপালভোগ, ল্যাংড়া, হিমসাগর, লকনা আম ট্রাক ভরে খুলনা বিভাগের সর্ববৃহৎ ফলের আড়ৎ কদমতলায় আসছে।
আড়ৎ থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে সবচেয়ে ভালো ল্যাংড়া, হিমসাগর আম ১৬শ’ টাকায় মণ বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া শ্রেণীভেদে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা দরে বিভিন্ন প্রজাতির আমের মণ বিক্রি হচ্ছে। আড়তে প্রতি কেজি আমের মূল্য ৩৫-৪০ টাকা।
কদমতলা ফলের আড়তের শ্রমিক নেতা জামাল জানান, কদমতলায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রাকের পর ট্রাক ভরা আম আসছে। এখানে প্রায় ১ হাজার শ্রমিক দিন রাত পর্যায়ক্রমে কাজ করছেন। এবার আমের সরবরাহ বেশি তাই কাজও বেশি বলে জানান তিনি।
আড়ৎ ছাড়াও খুলনার বিভিন্ন বাজার রসালো ফলের মৌ মৌ ঘ্রাণে মাতোয়ারা। আম, লিচু, কাঁঠাল, আনারসসহ বাজারে ফলের সমারোহ। সব বাজারে এখন মিষ্টি ফলের সুবাস।
ফল বিক্রেতারা বলছেন, রসনা তৃপ্ত করতে বাহারি মৌসুমী ফল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ক্রেতারা। ঐতিহ্য মেনে আবার কেউ কেউ প্রিয়জনের বাসায় থলে ভর্তি ফল পাঠাচ্ছেন। এছাড়া গত বছরের মতো এবারও এখানকার ফলের বাজার বিষমুক্ত হওয়ায় রেকর্ড ধরে রেখেছে।
নগরীর শান্তিধামের মোড়ের খুচরা ফল বিক্রেতা আল-আমিন জানান, রোজাদাররা ইফতারে দেশি ফলে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। যার কারণে আম-কাঁঠালের বিক্রি ভালো। দামও সবার নাগালের মধ্যে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৭
এমআরএম/জেডএস