হাইকোর্টের জামিনাদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৩ জুন) অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাসুদ হাসান চৌধুরী পরাগ ও অ্যাডভোকেট-অন-রেকর্ড সুফিয়া খাতুন।
আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন মাসুদ হাসান চৌধুরী পরাগ।
২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল চট্টগ্রামের সদরঘাট থানার আনু মাঝির ঘাট এলাকায় ‘এসি মেলা’ নামে একটি ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যের গুদামে অভিযান চালিয়ে অলঙ্কারসহ প্রায় ২০ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করে পুলিশ।
ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যের আড়ালে স্বর্ণ চোরাচালানের খবর পেয়ে পুলিশ ওই গুদামে অভিযান চালায়। পরের দিন এ ঘটনার সদরঘাট থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে সাতজনের নামে মামলা করেন।
এ মামলায় ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ আরও দুইজনকে যোগ করে এসি মেলার দুই মালিক মো. জসীম উদ্দিন, ভবতোষ বিশ্বাস রানা, কর্মচারী গিয়াস উদ্দিন টিটু, জসীম উদ্দিনের ভাই ইমরান খান, সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান আমিন ব্রাদার্সের মালিকদের একজন ফজলুল হক, ফরিদ, রুবেল, মো. সোয়েব ও আবু তাহেরের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
মামলায় ২০১৫ সালের ১ ডিসেম্বর আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করেন বিচারিক আদালত। এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করেন আসামি গিয়াস উদ্দিন, ইমরান খান ও মো. সোয়েব। ২০১৬ সালের ৮ মার্চ হাইকোর্ট তাদের জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেন। ওই রুলের শুনানি শেষে চলতি বছরের ৭ জুন রুল মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট। অর্থাৎ তাদের জামিন মঞ্জুর হয়।
হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে। যার শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্টের আদেশ আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। ফলে তাদের জামিনে মুক্তি আটকে গেলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৭
ইএস/জেডএস