এবারের চিত্র ভিন্ন বলে দাবি করছেন রাজধানীর ফার্মগেট এলাকার ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন বাজারে ক্রেতার উপস্থিতি একেবারে কম না।
শুক্রবার ( ১৬ জুন) ফার্মগেটের ফুটপাত মার্কেট, সেজান পয়েন্ট এবং ফার্ম ভিউ সুপার মার্কেটের দোকানি ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা যায়।
ফুটপাতে প্যান্ট বিক্রেতা বশির মিয়া বাংলানিউজকে জানান, তার দোকানে ৩০০-৪০০ টাকা দামের জিন্স ও গ্যাবাডিন প্যান্ট বিক্রি করা হয়। অন্যবার ঈদ মৌসুমে ৪০/৫০ হাজার টাকার প্যান্ট বিক্রি করলেও এবার তার অর্ধেক হবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান বশির মিয়া। পাশের দোকানটাতেই লোফার, কেডসসহ বিভিন্ন জেন্টস ও লেডিস জুতা বিক্রি করেন কবির। তিনি জানালেন আরও দূরাবস্থার কথা। শুক্রবার দুপুর ১টা পর্যন্ত কবির এক জোড়া জুতাও বিক্রি করতে পারেনি।
বাজারে তো ক্রেতার অভাব নেই তাহলে বিক্রির অবস্থা এমন কেন জানতে চাইলে কবির বাংলানিউজকে বলেন, ‘এইহানে অনেক শিক্ষার্থীরা পড়ালেহা (পড়ালেখা) করে। তারা যাওয়ার পথে আইটেমগুলা দ্যাহে (দেখে)। পছন্দ ওইলে (হলে)কেনে। তয় বেশির ভাগ সময়ই কেনে না। ’
তবে মোয়াজ্জেম (৫০) নামে ছেলেদের শার্ট বিক্রেতা জানালেন ভিন্ন কথা। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমার ব্যবসা ভালো’। ২০০-৩০০টাকা দামের শার্ট পাওয়া যায় তার দোকানে। এখন দিনে ১০-১২ হাজার টাকার শার্ট বিক্রি করেন বলেও জানান মোয়াজ্জেম। এদিকে ফুটপাতের চেয়ে মার্কেটের ভেতরের চিত্র আরও খারাপ বলে জানান দোকানিরা। সেজান পয়েন্টের ‘সাতকাহন’ দোকানের স্বত্ত্বাধিকারী জহুরুল ইসলাম সুমন বাংলানিউজকে বলেন, আমার এখানে বাংলাদেশি, ইন্ডিয়ান, চাইনিস, থাইল্যান্ডের বিভিন্ন ব্রান্ডের পোশাক বিক্রি করি।
ঈদ বাজারে ব্যবসায়ের অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এবার গতবছরের থেকে গড়ে ৩০-৪০ ভাগ বিক্রি কম। মানুষ আসছে কিনছে না। আরো আজকে শুক্রবার এখন প্রচুর ভিড় থাকার কথা। তবে সকালে বৃষ্টি হওয়াতে মানুষ একটু কম বলেও মনে করেন জহুরুল ইসলাম।
ভাই ভাই ফেব্রিক্সের স্বত্ত্বাধিকারী জয় সাহাও জানালেন একই অবস্থা। বিক্রি নেই দাবি করে তিনি বলেন, আমাদের মার্কেটের বেশিরভাগ কাস্টমার মধ্যবিত্ত পরিবার। আমার মনে হয় বর্তমানে মধ্যবিত্তরা একটু চাপে আছেন। তাদের হাতে এই মূহুর্তে টাকা কম, যে কারণে তারা শপিং এ আসলেও কিনতে পারছে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৭
এসআইজে/এএটি