প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী ফ্ল্যাট বেচা কেনায় ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট প্রয়োগ শুরু হলে এই শিল্পের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এর ফলে আবাসন শিল্প মুখ থুবড়ে পড়বে বলেও মনে করেন আবাসন ব্যবসায়ীরা।
শনিবার (১৭ জুন) বিকেলে হোটেল সোনারগাঁও এ আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (রিহ্যাব) এর এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংগঠনের নেতারা।
রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, আমাদের দাবি জন মানুষের দাবি। বর্তমান জনবান্ধব সরকার সাধারণ মানুষের প্রয়োজনীয় আবাসন শিল্পের ওপর এতো কর আরোপ করবে এটা আমার বিশ্বাস হয় না। অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী এটার পরিবর্তন করবেন।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট বৃদ্ধি পেলে আবাসন ব্যয় দশ গুণ বেড়ে যাবে। হিসাবে দেখিয়ে বলেন, ৭৫ হাজার টাকার ফ্ল্যাট ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে সাড়ে ৭ লাখ টাকায় দাঁড়াবে। এতে এই শিল্প একেবারেই মুখ থুবড়ে পড়বে।
রিহ্যাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট আবাসন বান্ধব না। আমি সরকারের অংশ না। একজন আবাসন ব্যবসায়ী হিসেবে একথা বলছি। প্রস্তাবিত বাজেটে আবাসন সংশ্লিষ্ট প্রতিটি উপকরণে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট বেড়েছে। এটা বাস্তবায়ন হলে এই শিল্প ধ্বংসে শেষ পেরেক মারা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বর্তমানে ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন ব্যয় ১৪% থেকে ১৬% এর উপরে হওয়ায় ফ্ল্যাট ও জমির বেচাকেনা মারাত্মকভাবে কমে গেছে।
ফ্ল্যাটের উপর ভ্যাট ছিল ১ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ পর্যন্ত। গড়ে যা ৩ শতাংশ। বর্তমানে এটা হবে ১৫ শতাংশ।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, আবাসনের অন্যতম কাঁচামাল এমএস রড। রডে এখন সব মিলিয়ে টন প্রতি ৯০০ টাকা ভ্যাট দিতে হয়। নতুন আইনের ফলে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে। এ হিসেবে বর্তমান বাজার মূল্য অনুযায়ী এক টন রডে ভ্যাট হবে সাড়ে ৭ হাজার টাকা। বাজেটে ফ্ল্যাই অ্যাশ আমদানিতেও ১০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বসানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দুই ধরনের পাথরের উপর ১ জুলাই থেকে বোল্ডার স্টোন ও স্যান্ড স্টোন আমদানিতে যথাক্রমে ১৫ ও ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রক শুল্ক দিতে হবে। ফলে এ সেক্টর আরও ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে পড়বে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাবের ১ নং সহ সভাপতি লিয়াকত আলী ভূইয়া ও পরিচালক আল আমিনসহ রিহ্যাব নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৭
এসএম/আরআই