ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কুমিল্লার খাদি দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড়

ইমতিয়াজ আহমেদ জিতু, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৪ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৭
কুমিল্লার খাদি দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড় কুমিল্লার খাদি দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড়

কুমিল্লা: কুমিল্লায় ঈদের বাজারে স্থানীয় শতাধিক খাদি দোকানে এখন ক্রেতাদের উপচে ভরা ভিড়। প্রসিদ্ধ খাদি কাপড় কিনতে অন্যান্য জেলা থেকেও কুমিল্লায় আসছেন ক্রেতারা।

দামে সস্তা কিন্তু মান ভালো হওয়ায় সব বয়সের নারী-পুরুষের কাছেই প্রিয় দেশি খাদি কাপড়ে তৈরি পোশাক।

দেশজুড়ে কুমিল্লায় খাদি কাপড়ের সুনাম শত বছরের।

ঈদের আগে নগরীর রাজগঞ্জ, মনোহরপুর, কান্দিরপাড় ও লাকসাম সড়কের প্রায় শতাধিক খাদি পণ্যের দোকানে প্রতিদিনই সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতাদের ভিড় দেখা যাচ্ছে।

জানা যায়, সুতার দাম বৃদ্ধি, বিদেশি পোশাকের আগ্রাসন এবং তাঁতি কমে যাওয়ায় হাতে তৈরি খাদির সরবরাহ কমেছে। কিন্তু বাজারে আসছে নতুন মানের মেশিনে তৈরি খাদি পণ্য। মান প্রায় একই হওয়ায় নতুন খাদির চাহিদাও রয়েছে বাজারে।

সরেজমিনে নগরীর খাদি দোকানগুলোতে ঘুরে জানা যায়, এখানে শিশুদের পোশাক ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে দেড় হাজার টাকা, শর্ট ফতুয়া ২শ’ থেকে এক হাজার টাকা, পাঞ্জাবি ৩শ’ ৫০ থেকে চার হাজার টাকা, মেয়েদের শর্ট ফতুয়া ও থ্রিপিস ৩শ’ থেকে আড়াই হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।

দেশীয় পোশাক, দামে সস্তা,পরতে আরামদায়ক বলে ক্রেতারা ঝুঁকছেন খাদি দোকানগুলোতে।

নগরীর মনোহরপুরে খাদির দোকানে কেনাকাটা করতে আসা মহিউদ্দিন ও কাকন নামের দুই শিক্ষার্থী বাংলানিউজকে বলেন, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এবারের ঈদে আধুনিক ডিজাইনের ফতুয়া, পাঞ্জাবি, মেয়েদের শর্ট ফতুয়া ও থ্রিপিসসহ বিভিন্ন খাদি পোশাক বাজারে রয়েছে। যা অন্যান্য ব্র্যান্ডের তুলনায় ফ্যাশনেবল আর দামও নাগালের মধ্যে।
কুমিল্লার খাদি দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড়
খাদি দোকান ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের কেনাকাটায় খাদির জামা-কাপড়ের চাহিদা প্রতিবারের মতো এবারো রয়েছে। দেশীয় পোশাকের একমাত্র মূল উপাদান খাদি। এ কাপড়কে বিভিন্নভাবে রূপান্তরিত করে দেশের মানুষের চাহিদা মেটানো হচ্ছে। তাঁতীদের বিভিন্ন প্রযুক্তির ব্যবহার, তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থার পাশাপাশি এ শিল্পের প্রসারে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।

সরকারের সহযোগিতা পেলে এ শিল্প যুগ যুগ ধরে ভালো অবস্থানে থাকবে। খাদিঘরের মালিক প্রদীপ কুমার রাহা কান্তি বাংলানিউজেক জানান, দেশে সীমারেখা ছাড়িয়ে কুমিল্লার খাদির খ্যাতি ছড়িয়ে রয়েছে বিদেশেও। পোশাকে বাংলাদেশের এই খাদি শিল্পের ঐতিহ্য ধরে রাখতে তাঁতীদের জন্য যেমন প্রয়োজন পৃষ্ঠপোষকতা তেমনি ক্রেতারাও দেশি পণ্য ব্যবহারে সচেতন হতে হবে। তাহলেই এ শিল্প বেঁচে  থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ০২৩৩ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৭
জিপি/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।