আবার অনেকেই ভিড় এড়াতে ঘরে বসেই অনলাইনে কেনাকাটা সেরে নিচ্ছেন। এ উপায়ে কেনাকাটায় মূল্য পরিশোধেও রয়েছে বিভিন্ন ছাড়।
অনলাইন কেনাকাটায় বিকাশে পেমেন্ট করার সঙ্গে সঙ্গে মিলছে ১০ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশব্যাক।
সম্প্রতি রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে বাটার শোরুম থেকে একজোড়া জুতা পছন্দ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শরীফুল ইসলাম। বিকাশে জুতার মূল্য বাবদ ২,৭০০ টাকা পরিশোধ করার সঙ্গে সঙ্গে ২৭০ টাকা ক্যাশব্যাক অ্যামাউন্ট জমা হয় শরীফুলের বিকাশ অ্যাকাউন্টে।
শরীফুল বলেন, জুতা কেনার জন্য তার বাজেট ছিল ২,৫০০ টাকা। পছন্দের জুতার মূল্য বাজেটের থেকে বেশি হওয়ায় তিনি কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন। কিন্তু বিকাশে মূল্য পরিশোধে ক্যাশব্যাক পাওয়ায় তিনি তার বাজেটের মধ্যেই জুতা কিনতে পেরেছেন। বিকাশের এ ক্যাশব্যাক অফারে তিনি অনেক খুশি।
মুনিজা রহমান একজন কর্মজীবী নারী। ভিড় এড়াতে অনলাইনে কেনাকাটায় সাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। ইফতারি শেষে নামাজ আদায় করেই বিভিন্ন অনলাইন শপগুলোতে ঢুঁ মারতে থাকেন। একপর্যায়ে একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে মেয়ের জন্য ১,২০০ টাকা মূল্যের একটি পোশাকও কিনলেন। বিকাশে মূল্য পরিশোধে করে ২০ শতাংশ ক্যাশব্যাক পেলেন।
ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে দেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ-এর গ্রাহকরা পুরো রমজান মাসজুড়ে ই-কমার্স সাইটসহ দেশের ৫৯টি নামি ব্র্যান্ড ও সুপার স্টোরের ১,১৩২টি আউটলেটে কেনাকাটার মূল্য বিকাশে পরিশোধে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশব্যাক পাচ্ছেন। কেনাকাটার মূল্য বিকাশে পরিশোধের সঙ্গে সঙ্গেই গ্রাহকের বিকাশ অ্যাকাউন্টে ক্যাশব্যাকের টাকা জমা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিকাশের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (পাবলিক রিলেশনস) জাহেদুল ইসলাম বলেন, বিকাশ তার গ্রাহকদের প্রয়োজনীয়তাকে বিবেচনায় রেখেই বিভিন্ন উৎসব বা উপলক্ষকে কেন্দ্র করে নানা ধরনের অফার নিয়ে আসে। গ্রাহকদের ঈদ উৎসবকে আনন্দময় করতে এ ক্যাশব্যাক সুবিধা নিয়ে এসেছে।
তিনি বলেন, বিকাশে কেনাকাটায় কোনো অতিরিক্ত চার্জ দিতে হবে না। বিকাশে পেমেন্ট করার সঙ্গে সঙ্গেই গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে ক্যাশব্যাক জমা হবে।
তিনি জানান, পহেলা জুন থেকে শুরু হওয়া অফারটি চলবে ঈদ-উল ফিতরের দিন পর্যন্ত। এ অফারে অংশগ্রণকারী ব্র্যান্ডের নাম ও দোকানের ঠিকানা পাওয়া যাবে বিকাশ-এর ওয়েবসাইট www.bkash.com এবং ফেসবুক পেজ www.facebook.com/bkashlimited।
বিকাশ-এর মাধ্যমে কেনাকাটা দিনদিন জনপ্রিয় হচ্ছে। গ্রাম, পাড়া-মহল্লার ছোট দোকান থেকে শুরু করে ৪০ হাজারেরও বেশি দোকানে বিকাশের মাধ্যমে কেনাকাটা করা যাচ্ছে। পণ্য কেনাকাটা, মোবাইল ফোনের ব্যালেন্স রিচার্জসহ বিকাশের গ্রাহকদের একটি বড় অংশও ধীরেধীরে বিকাশ দিয়ে কেনাকাটায় অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। যা দেশে একটি ডিজিটাল পেমেন্ট ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে সহায়তা করছে।
এ প্রসঙ্গে এক বিক্রেতা বলেন, ঈদের বাজার জমে উঠেছে। কেনাকাটা এখন শুধুমাত্র নগদ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ডিজিটাল মানির ব্যবহার বাড়ছে। বিকাশ, ব্যাংকের ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেও কেনাকাটার পরিমাণ প্রতি বছরেই বাড়ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৮ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৭
এসই/জেডএস