বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) সূত্র জানায়, আসন্ন ঈদ-উল ফিতরে বাড়ি ফিরতে মহাসড়কে পোশাক শ্রমিকদের দুর্ভোগ কমাতে তিনদিনে পর্যায়ক্রমে কারখানাগুলোতে ছুটি দেওয়া হবে। ২৩ জুন প্রথম দফায় রাজধানী ও আশেপাশের কিছু পোশাক কারখানায় এবং আগামী ২৪ জুন ও সর্বশেষ ২৫ জুন মিলিয়ে সব শ্রমিকদের ছুটি শুরু হবে।
দেশে প্রায় ৪০ লাখ পোশাক শ্রমিক রয়েছেন। এই বিপুল সংখ্যক পোশাক শ্রমিককে একদিনে ছুটি দেওয়া হলে একদিকে যেমন যানবাহনের সংকট দেখা দেবে, ঠিক তেমনি মহাসড়কে গাড়ির সংখ্যা বেশি থাকায় ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটে বসে থাকতে হবে।
এ ধরনের সমস্যা মোকাবেলায় তিনদিনে ভাগ করে সব কারখানায় ছুটি শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান বিজিএমইএ'র সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, কিছু কিছু কারখানায় ঈদের ছুটির সময়কালে শিপমেন্ট রয়েছে। সেসব পণ্য তৈরি করে রাখতে হচ্ছে। তাই সব কারখানায় আগে ছুটি দেওয়া সম্ভব নয়। আবার অনেক কারখানায় কাজ অনেক কম রয়েছে। তারা ২৩ জুন থেকে ছুটি দিলেও কোনো সমস্যা হবে না। তাই কম কাজ আছে, এমন কারখানাগুলোতে আগে শ্রমিকদের ছুটি দেওয়া হবে। আর জরুরি শিপমেন্ট করতে হবে- এমন কারখানাগুলোকে ২৫ জুন পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। এর ব্যত্যয় হবে না।
তবে বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক-কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি বাংলানিউজকে বলেন, ২৩ জুন থেকে কারখানাগুলোতে ছুটির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, এটা ঠিক। কিন্তু রোববার (১৮ জুন) পর্যন্ত অনেক কারখানায় বোনাস দেওয়া হয়নি। জুন মাসের ১৫ দিনের বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও কতোগুলো কারখানায় তা বাস্তবায়িত হবে, তাই এখন দেখার বিষয়। শুধু ছুটি দিলেই হবে না। একই সঙ্গে শ্রমিকদের পাওনাদি পরিশোধ করতে হবে নিয়মমতো। না হলে ছুটি পেলেও তা শ্রমিকদের জন্য ঈদের খুশি বয়ে আনবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৭
ইউএম/এএসআর