খুলনার শিববাড়ির খান টাওয়ারের ইজি ফ্যাশান হাউজ থেকে পাঞ্জাবি কেনার সময় এসব কথা বলেন বাগেরহাটের একটি বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা মাহমুদুল ইসলাম তারেক।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, সুতি কাপড় স্বাস্থ্যসম্মত।
সোমবার (১৯ জুন) দুপুরে ইজি ফ্যাশন হাউজের খুলনা শাখার ম্যানেজার সমিরণ মণ্ডলও জানালেন সুতি কাপড়ের কদরের কথা।
তিনি বলেন, ঈদ গরমে হওয়ায় সুতি পাঞ্জাবির জয়জয়কার। আগে যেখানে সিনথেটিক কাপড়ের চাহিদা বেশি ছিলো। এবার সেখানে দেশি উন্নতমানের কাপড়ের ব্যাপক চাহিদার সৃষ্টি হয়েছে। ছেলেদের পাঞ্জাবির ক্ষেত্রে দেশি সুতি প্রিন্টের কাপড়ের পাঞ্জাবি বেশ চলছে। ঈদ ঘনিয়ে আসায় বিক্রিও জমজমাট। দাম কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের এটা এক দামের দোকান। এ হাউজে পাঞ্জাবি এক হাজার ছয়শ’ ৯০ থেকে তিন হাজার দুইশ’ ৮০ টাকা পর্যন্ত।
মহানগরীর শান্তিধাম মোড়ের ফ্যাশন হাউজ গৃহসুখনের মালিক তনু রহমান বাংলানিউজকে বলেন, এবার ঈদে ছেলেদের সুতি পাঞ্জাবির পাশাপাশি শার্ট, টি-শার্টের ক্ষেত্রেও সুতির কাপড়ের প্রাধান্য বেশি। বাহারি রঙ, প্রিন্ট অথবা হাতের কাজ করা পাঞ্জাবির দাম একটু বেশি।
পাঞ্জাবি ঘরের বিক্রেতা আব্দুল্লাহ জানান, তরুণদের পাশাপাশি সব শ্রেণীর পুরুষ পাঞ্জাবি কিনছেন। সুতির পাঞ্জাবি বেশি চলছে। এছাড়া কেউ কেউ জুট কটন, কাতান, জয়শ্রী সিল্ক কাপড়ের জমকালো পাঞ্জাবিও কিনছেন। দাম এক হাজার থেকে চার হাজার টাকা পর্যন্ত। পাঞ্জাবির সঙ্গে চুড়িদার পায়জামাও ভালো বিক্রি হচ্ছে।
নিউ মার্কেট, খুলনা শপিং কমপ্লেক্স, জলিল সুপার মার্কেট, রেলওয়ে মার্কেট, খুলনা বিপনী বিতান, সেইভ অ্যান্ড সেইফ, আড়ং, ইজি ফ্যাশন হাউজ, গৃহসুখন ঘুরে দেখা গেছে, এবার নীল, মেরুন, সবুজ, ফিরোজা, কমলা, কালো, ম্যাজেন্টা, গোলাপিসহ নানা উজ্জ্বল রঙের পাঞ্জাবি সাজিয়ে রাখা হয়েছে। রয়েছে সাদা এবং সাদার বিভিন্ন শেড। পুরু হাতের কাজ অথবা অ্যামব্রডারির মাধ্যমে ডিজাইন করা হয়েছে পাঞ্জাবির হাতা এবং গলাতে। কোনোটার পিঠেও।
এসব পাঞ্জাবির বেশির ভাগ তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন বুটিক হাউজগুলোতে। এসব বাহারি পাঞ্জাবি কিনতে সবখানেই উপচে পড়া ভিড়।
দোকানিরা জানান, দেশীয় ব্র্যান্ডের পাশাপাশি ভারতীয় বিভিন্ন ডিজাইনের পাঞ্জাবিও বেশ বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৭
এমআরএম/এএটি/