মঙ্গলবার (২০ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মানিকগঞ্জ শহর ও বাসস্ট্যান্ডসহ আশ-পাশের বিভিন্ন মাকের্টে একদরের শো-রুমগুলোতে সরেজমিনে ঘুরে এমন দৃশ্যই দেখা যায়।
সালাউদ্দিন মাহমুদ নামে এক ক্রেতা বাংলানিউজকে জানান, পরিবারের জন্যে ঈদের কেনা কাটা করতে এসেছেন তিনি।
ক্রেতা আফরোজা খানম বাংলানিউজকে জানান, ঈদের জন্য এখন পণ্যের অতিরিক্ত দাম চায় দোকানিরা। সেখানে দরদাম করে পণ্য কেনার ক্ষেত্রে অনেক সময় ঠকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অপরদিকে একদরের শো-রুমগুলোতে সেই সম্ভাবনা খুবই কম। যে কারণে তিনিসহ তার পরিবারের সবারই একদরের শো-রুম থেকে কেনাকাটা করতে পছন্দ করেন বলে মন্তব্য করেন।
ইউসুফ ইব্রাহিম হ্যান্ডি ক্রাফটের পরিচালক নূর মোহাম্মদ ইউসুফ বাংলানিউজকে জানান, মানিকগঞ্জ শহর ও আশ-পাশের জেলাগুলোতে তাদের বেশ কয়েকটি শো-রুম রয়েছে। সবগুলো শো-রুমে বিভিন্ন ধরনের পোশাকগুলো একদরে বিক্রি করা হয়। একদরে পোশাক কেনার ক্রেতা দিন দিন বাড়ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মানিকগঞ্জ শহরের নকশী শো-রুমের পরিচালক (অর্থনীতি) রকিবুল হাসান সুমন বাংলানিউজকে জানান, ১৫ রোজার পর থেকে ঈদের বিকিকিনি বেশ জমজমাট। কিন্তু বৃষ্টি হলে বিকিকিনি কিছুটা মন্দ হয়। তবে সবমিলে এবার ঈদে বিকিকিনি বেশ ভালো।
একদরের ব্যবসা সর্ম্পকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একদরের শো-রুমগুলোতে ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়ের জন্যই ঝামেলা কম। এখানকার পোশাকগুলোর দাম একটু বেশি হলেও তা বেশ মানসম্মত। কাজেই এসব শো-রুমগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় থাকে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৭
এএটি/