বুধবার (২১ জুন) শহরের বড় বাজার ও চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে তরকারির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি কাঁচা মরিচের দাম ১০০ টাকা, যা তিনদিন আগেও বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। এছাড়াও ভালো মানের গোল আকৃতির কাঁটাবেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা দরে।
যশোর শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড বাজারের খুচরা তরকারি বিক্রেতা এনামুল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, শহরের কাঁচা মরিচের পাইকারি মোকাম বড় বাজার কালীবাড়ী মার্কেটে গত তিনদিন ধরে কাঁচা মরিচের মূল্যের উর্দ্ধগতি।
বুধবার (২১ জুন) এ মোকামে প্রতি কেজি ৮০ থেকে ৮৫ টাকা পাইকারি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে। ফলে খুচরা বাজারে ১০০ টাকার নিচে বিক্রি সম্ভব নয়। তবে কয়েকদিন আগেও পাইকারি বাজারে সর্বোচ্চ দাম ছিলো ৩০ থেকে ৩৫ টাকা টাকা।
যশোর শহরের বড় বাজারের কালীবাড়ী পাইকারি মোকামের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা, ফরিদপুরের মধুখালি ও মাগুরা এলাকার ঝেয়া জাতের কাঁচা মরিচ যশোরে আসে। তবে সম্প্রতি বৃষ্টির কারণে মরিচ গাছ নষ্ট হওয়ায় ফলন কমে গেছে বলেই দাম চড়া। রমজানের বাকি দিনগুলোতে দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের।
বড় বাজারে বাজার করতে আসা শ্রমিক আতিয়ার রহমান বাংলানিউজকে বলেন, কাঁচা মরিচের অতিরিক্ত দামের কারণে তিনি বিকল্প হিসেবে শুকনো মরিচ কিনেছেন।
তিনি আরো বলেন, শ্রম বিক্রির টাকায় পাঁচ সদস্যের সংসার চালাই। ফলে আমাদের মতো মানুষের কাছে হিসেব করেই খরচ চলতে হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘন্টা, ২১ জুন ২০১৭
জেডএম/