রোজার শুরু থেকেই শিশুদের কেনাকাটার শুরু। যা চাঁদ রাত পর্যন্ত চলে।
জেলা শহরের বিভিন্ন মার্কেটে শিশুদের বাহারী পোশাকের আয়োজন রয়েছে। জিরো থেকে ১২/১৪ বছরের ছেলেদের জন্য টি-শার্ট, পলো-গেঞ্জি, শার্ট, ফতুয়া, পাঞ্জাবি, থ্রি কোয়াটার প্যান্ট, হাফ প্যান্ট, ফুল প্যান্ট বিক্রি হচ্ছে খুব। মেয়ে শিশুদের জন্য বরাবরের মতোই রয়েছে ফ্রক, লং ফ্রক বা ফ্লোরটাচ, গাউন, টপস, টাইস, থ্রি পিস ও টু পিস।
শহরের বড় বাজার, মুজিব সড়কের অভিজাত শপিং মল ও শো-রুম, সিটি প্লাজা শপিং কমপ্লেক্স. জেস টাওয়ার, কালেক্টরেট মসজিদ মার্কেট, পৌর হকার্স মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, শিশু পোশাকের দাম গতবারের মতো একই আছে। বড়বাজারের ওয়ান বেবি শো-রুমের বিক্রয়কর্মী নয়ন রায় বাংলানিউজকে বলেন, এবার ঈদ উপলক্ষে নতুন তেমন কোনো শিশু জামা বাজারে আসেনি। সারাবছরজুড়ে যেসব পণ্য বিক্রি হয়েছে এখনও তাই হচ্ছে। তবে বিক্রি বেশ ভালো।
কালেক্টরেট মসজিদ মার্কেটের আদিত্য ফ্যাশনের বিক্রয়কর্মী মইনুল হাসান মুকুল ও অ্যানি গার্মেন্টের বিক্রয়কর্মী তাইজুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ছেলে শিশুদের জন্য তারা এনেছেন বাবা সেট বা মোদি সেট। এই বাবা সেট ৬০০ টাকা থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। এবার এই পোশাকের ভালোই চাহিদা রয়েছে।
কালেক্টরেট মসজিদ মার্কেটে তিন থেকে ১৪ বছরের শিশুদের ফ্রক ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকায়, লেহেঙ্গা হাজার ৫০০ টাকা থেকে তিন হাজার টাকায়, স্কাট এক হাজার থেকে দুই হাজার ২০০ টাকায়, লং ফ্রক এক হাজার টাকা থেকে এক হাজার ৫০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। পোশাকের মান অনুযায়ী ক্রেতারা ছেলে শিশুর জন্য জিন্স প্যান্ট ৬০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা এবং টি-শার্ট ৫০০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকায় কিনছেন। বিক্রেতারা বলছেন, শেষ সময়ে এসে শিশুদের কেনাকাটা জমজমাট হয়ে উঠেছে।
শহরের সিটি প্লাজায় ছেলেকে নিয়ে মোদি ড্রেস কিনতে আসা ব্যাংক কর্মকর্তা রায়হান তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, এবার ছেলের সহপাঠীরা অনেকেই মোদি ড্রেস কিনেছে বলেই শখ পূরণে একই ড্রেস কিনতে আসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৬ ঘণ্টা, ২৩ জুন, ২০১৭
আইএ