আসন্ন ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে রাজধানীর নিউমার্কেটে কেনাকাটা করতে আসা গৃহিণী জাহানারা বেগম বাংলানিউজকে এ কথা বলেন।
শুক্রবার (২৩ জুন) রাজধানীর বেশ কয়েকটি নামি দামি শপিং মলসহ ফুটপাতে অবস্থিত ভাসমান দোকান ঘুরে দেখা যায় গৃহিণী জাহানারা বেগমের মতো সবাই শেষ মুহূর্তের কেনাকাটার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন।
তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সের মানুষ ভিড় করছেন শপিংমল ও সুপার মার্কেটগুলোতে। সকাল ১০টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে কেনা বেচা। শেষ সময়ে বেচাকেনার জন্য ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে কোনো ধরনের কমতি রাখছেন না বিক্রেতারা। পোশাকভেদে ১০-৩০ শতাংশ মূল্যছাড়ও দিচ্ছেন বিক্রেতারা। অন্যদিকে বিক্রেতাদের এ সব মূল্যছাড়ের সুযোগ লুফে নিতে ক্রেতারাও বেশ আগ্রহী।
শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় মার্কেটপাড়া ঘুরে দেখা গেছে মেঘা টু, কারিনা, মনটেক্স, নাতাশা, প্লাজো,
ফ্লোরটাচ, সাউথ কাতান, জর্জেট কাতান, বেনারসি শাড়ি, থ্রিপিস এবং পাঞ্জাবির চাহিদাই সব থেকে বেশি। সিল্কের বাহুবলী পোশাকের চাহিদাও রয়েছে ক্রেতাদের মধ্যে যথেষ্ট। এছাড়া বিদেশি কাপড়ের পাশাপাশি দেশি পোশাকগুলো উঠতি বয়সের তরুণ তরুণীদের নজর কেড়েছে।
শেষ মুহূর্তে কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মূলত অফিসের ছুটি না থাকায় এতো দিন তারা কেনাকাটা করতে ঠিক মতো আসতে পারেনি। আজ থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত তারা কেনাকাটা করবেন। আবার অনেকে পছন্দ মতো পোশাক খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত ভিড় জমাচ্ছেন মার্কেটগুলোতে। শেষ সময় এসে বেশি বিক্রির জন্য বিক্রেতাদের দেওয়া বিভিন্ন মূল্য ছাড় বিষয়টিও ক্রেতাদের নজরে রয়েছে। তবে শেষ সময়ের ক্রেতাদের মধ্যে রাজধানীর স্থানীয় বাসিন্দা ও যারা ঈদে নিজ বাড়ি যাচ্ছেন না তাদের সংখ্যাই বেশি।
বসুন্ধরা শপিংমলে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতা রেশমী ভুঁইয়া বাংলানিউজকে বলেন, গত তিন ধরে ঈদের কেনাকাটা চলছে এখনো শেষ হয়নি। আর এবার ঈদে ঢাকা থাকবো বলে তাড়াহুড়া করে কেনাকাটা করছি না ধীরে সুস্থে বুঝে শুনে কেনাকাটা করছি।
রাজধানীর নিউমার্কেটের ক্রেতা আনিকা রহমান বাংলানিউজকে বলেন, কেনাকাটা প্রায় শেষ দিকের। তবে শেষ সময়ে বিক্রেতারা বিভিন্ন মূল্যছাড় দিয়েছেন। সেই কারণে কিছু কেনাকাটা করতে এসেছি।
ঈদ উপলক্ষে শেষ সময় কেনাবেচায় সন্তুষ্ট প্রকাশ করছেন বিক্রেতারা। বিক্রেতারা জানান, ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে দোকানে দোকানে সাজিয়ে রাখা হয়েছে নানান ডিজাইনের দেশি-বিদেশি রঙ-বেরঙের পোশাক। এবার তরুণীদের চোখ বাহুবলীর দিকেই বেশি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবার দেশি পোশাকের পাশাপাশি ভারতীয় পোশাক বিক্রি হচ্ছে সমানতালে। ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা ঈদের আগের দিন পর্যন্ত কেনাবেচা চলবে। তাছাড়া ক্রেতা আকর্ষণের জন্য তারা বিভিন্ন মূল্যছাড়ও দিচ্ছেন।
বসুন্ধরা শপিং মলের স্মার্টেক্স পোশাক শোরুমের কর্মকর্তা পাভেল আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের কেনাবেচা ভালো চলছে। এখনো যথেষ্ট পরিমাণে ক্রেতা শপিংমলে ভিড় জমাচ্ছেন। আর ক্রেতাদের শেষ সময় খুশি করার জন্য আমরা বিভিন্ন মূল্যছাড়ও দিচ্ছি।
নামীদামী শপিংমলের পাশাপাশি ফুটপাতেও জমে উঠেছে শেষ সময়ের কেনাবেচা। স্বল্প আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে সকল শ্রেণীর ক্রেতা নিজের পছন্দ মতো ও সাধ্যমতো কেনাকাটা করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, জুন ২৩,২০১৭
এমএ/আরআই