তাই তাদের জন্যই ইলিশ কিনতেই রোববার (২৫ জুন) সকালে বরিশাল নগরের পোর্টরোডস্থ বৃহৎ ইলিশ মোকামে এসেছেন ষাটোর্ধ মিজানুর রহমান।
ইলিশের বাজার ঘুরতে ঘুরতে তিনি বাংলানিউজকে জানান, ছেলে মেয়েরা বড় হয়ে গেছে বিয়ে ও হয়েছে।
মিজানুর রহমানের মতো এই সময়ে অনেকেই ঈদ করতে ঘরেফেরা মানুষদের ও অতিথি আপ্যায়নে জন্য মাছের বাজারে ভিড় করেছেন। ইলিশের পাশাপাশি এই মোকামে দেশীয় মাছও কিনছেন তারা।
অপরদিকে ইলিশকে কেন্দ্র করেই মোটামুটি সরগরম থাকা পোর্টরোডের বেসরকারি এই অবতরণ কেন্দ্রে ইলিশ ওঠানামার মধ্য দিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকরা।
বরিশালের পোর্টরোডস্থ মৎস অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবসায়ী মো. রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আগে বহু জেলে বরিশালের এই অবতরণ কেন্দ্রে আসতো। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেশি লাভের আশায় এখন বরিশালের মাছ যাচ্ছে চাঁদপুর, ভোলা ও পটুয়াখালির মহিপুরে। তারপরও এখনও যে পরিমান মাছ আসছে তা কমও নয়।
অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবসায়ী মো. মানিক বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে এখন ইলিশরে দাম একটু বেশি। ঈদকে কেন্দ্র করে মফস্বল শহরগুলোতে ইলিশের চাহিদা বেড়েছে। খুচরা থেকে পাইকার ব্যবসায়ীরা যে চাহিদা অনুযায়ী মাছ চাচ্ছেন, সে অনুযায়ী আমদানিও হচ্ছে না।
তিনি বলেন, বরিশালের পোর্টরোডস্থ মৎস অবতরণ কেন্দ্রে গত সপ্তাহে ৪ থেকে সাড়ে ৫শ’ গ্রামের ইলিশ মাছ মণপ্রতি বিক্রি হয়েছে ২৫ থেকে ২৬ হাজার টাকায়, রোববার সে দর ছিলো ৩৪ থেকে ৩৮ হাজার টাকার মধ্যে।
একইভাবে এলসি (৬-৯শ’ গ্রাম) সাইজের মাছ গত সপ্তাহে মণপ্রতি ৩২ থেকে ৩৩ হাজার টাকায়, রোববার তা ৪৬ থেকে ৪৮ হাজার টাকার দরে বিক্রি হয়েছে। গতসপ্তাহে এক কেজি থেকে এক কেজি ৪শ’ গ্রাম মাছ ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা দরে মণপ্রতি বিক্রি হলেও এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৮০ হাজার টাকা দরে। আর দেড়কেজি ওজনের ইলিশ ৭২ থেকে ৭৫ হাজার টাকা থেকে বেড়ে মণপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে লাখ টাকায়।
বাজারে খুচরা ও পাইকারি ক্রেতারা রয়েছেন। ফলে হিসেবে মতে ঈদের আগের দিন হলেও বাজার বেশ জমজমাট ভাব কাটিয়েছে বলেও জানান মাছ ব্যবসায়ী মো. মানিক বিশ্বাস।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৭
এমএস/জিপি