বুধবার (২৮ জুন) রাজধানীর মতিঝিলের ব্যাংক-বিমা অফিসের প্রধান প্রধান কার্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি ও কাজকর্মও খুবই কম। যারা অফিসে এসেছেন, তারা একে অন্যের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় ও কোলাকুলি এবং গল্প-গুজব করে সময় কাটাচ্ছেন।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকেও একই চিত্র। ঈদের ছুটির পর প্রথম সরকারি কার্যদিবস হওয়ায় উপস্থিতি কম বলে জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
এবারের ঈদের ছুটি শুরু হয় গত শুক্রবার (২৩ জুন), শেষ হয়েছে মঙ্গলবার (২৭ জুন)। ঈদের ছুটির সঙ্গে বাড়তি দু’দিনের ছুটি নিয়েছেন অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী। ফলে বুধবার ও বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) ছাড়াও আগামী শুক্রবার (৩০ জুন) ও শনিবারের (০১ জুলাই) সাপ্তাহিক ছুটি কাটিয়ে কাজে ফিরবেন তারা।
এ কারণে ব্যাংকপাড়া এখনো স্বাভাবিক হতে পারেনি উল্লেখ করে উপস্থিত কর্মকর্তারা জানান, আগামী রোববার (০২ জুলাই) থেকে ফের পুরোদমে কার্যক্রম চালু হবে।
সরকারি-বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখাগুলোতেও গ্রাহকের উপস্থিতি ও লেনদেন অনেক কম। সোনালী, রূপালী ও অগ্রণী ব্যাংকের স্থানীয় শাখায় কিছু গ্রাহককে লেনদেন করতে দেখা গেছে। বেসরকারি দু’একটি ব্যাংকে আমদানি-রফতানির এলসি খোলা হয়েছে বলে জানান কর্মকর্তারা।
সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখায় সঞ্চয়পত্রের সুদের টাকা তুলতে আসা বিমানের সাবেক প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ঈদের আগে অনেক ভিড় ছিল। তাই আজ এসেছি সুদের টাকা তুলতে। আগামী মাসের বাড়িভাড়াও দিতে হবে’।
সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখার মহাব্যবস্থাপক মো. ওয়াশিউর রহমান বলেন, ঈদের ছুটির পর সবেমাত্র অফিস শুরু হলো। লেনদেন ও অন্যান্য কাজ চলছে, তবে গ্রাহকের উপস্থিতি কম। আগামী সপ্তাহে স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৮ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৭
এসই/এএসআর