চিরচেনা প্রাণচাঞ্চল্য ও ব্যস্ততা এখনও অনুপস্থিত রাজধানী ঢাকার রাস্তা-ঘাট, অফিস আদালত ও বিপণিবিতানেও। ক্রেতা-দর্শনার্থীদের পদচারণা না থাকায় মার্কেটগুলোতে প্রায় দোকানেই অলস সময় কাটাচ্ছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
রোববার (০২ জুলাই) রাজধানীর গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্স, রেলওয়ে সুপার মার্কেট, ঢাকা ট্রেড সেন্টারে এবং নিউ মার্কেট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, এসব মার্কেটের অধিকাংশ দোকানও এখনও বন্ধ। ঈদের পর এমনিতেই ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপস্থিতি কম, তার উপর আষাঢ়ের বৃষ্টি। এ দুইয়ে মিলে ক্রেতা শূন্য মার্কেটে কোনো কোনো দোকানের কর্মচারীরা বসে গল্প করে, কেউবা মোবইলে গেম খেলে আবার অনেকেই টেবিলে মাথা রেখে ঝিমিয়ে সময় পার করছেন।
গুলিস্তানের রেলওয়ে সুপার মার্কেট ও ঢাকা ট্রেড সেন্টার শনিবার (০১ জুলাই) থেকে খুলেছে। আর গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্স ঈদের ছুটি শেষে খুলেছে রোববার। তবে এ মার্কেটের অধিকাংশ দোকানই বন্ধ।
‘সবে ঈদ গেল। বাজার এখন ড্যাম, ক্রেতা উপস্থিতি কম। সকাল থেকেই বৃষ্টি। এজন্যই অধিকাংশ দোকানপাটও বন্ধ,’ বলছিলেন রেলওয়ে সুপার মার্কেটের ঝিনুক শাড়ি বিতানের স্বত্ত্বাধিকারী জাহাঙ্গীর কবির।
তবে তিনি এও বলেন, ‘ঈদের আগে এই মার্কেটের সবার ব্যবসা ভালো হয়েছে। ’
এদিকে গত শুক্রবার (৩০ জুন) থেকে খুলেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মালিকানাধীন ঢাকা নিউ সুপার মার্কেট (দক্ষিণ)। এখানের অধিকাংশ দোকান খুললেও ক্রেতা উপস্থিতি একেবারেই কম।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই সপ্তাহের পুরোটা সময়ই মার্কেটের অবস্থা এমন ক্রেতা শূন্যই থাকবে। তবে সামনের সপ্তাহ বা চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার থেকে পূজা উপলক্ষে মার্কেটে ভিড় বাড়তে পারে।
মার্কেটের প্রদীপ এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার মোহাম্মদ হানিফ বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের আগে ব্যবসা ভালো ছিল। এখন কয়দিন কম হবে। তবে এই সময়ে দোকান খুলে রাখাটাই মুখ্য বিষয়। আবার পূজার বিক্রি শুরু হলে মার্কেট জমে ওঠবে।
এদিকে বৃষ্টির কারণে মার্কেট বেশি ফাঁকা বলে মনে করছেন ওই মার্কেটের বেবি ফ্যাশনের ম্যানেজার কামরুল হাসান ফয়সাল।
তার মতে, আমাদের বেবি আইটেম সব সময় মোটামুটি ভালো চলে। তবে আজকে বৃষ্টির কারণে ক্রেতা কম।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০১৭
এসআইজে/এমএ