বৃষ্টি ও আমদানির সমস্যাকে এ মূল্যবৃদ্ধির জন্য দায়ী করছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে ক্রেতা ও খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, চাল, ডাল ও চিনির বাজারদর রোজা থেকেই বেড়েছে।
শনিবার (০৮ জুলাই) রাজধানীর মোহাম্মদপুর কাঁচাবাজার ও মিরপুর ১০ নম্বরের বৌবাজারে সরেজমিনে গেলে ব্যবসায়ীরা জানান, আমদানিগত কিছু সমস্যায় ভারতীয় পেঁয়াজের দাম একটু বেশি। অন্যদিকে বৃষ্টিতে আলুর ফলনে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটেছে, গুদামে রাখা আলুও নষ্ট হয়েছে।
তবে আলু ও পেঁয়াজের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তারা।
ভারতীয় পেঁয়াজ ছাড়া অন্য মসলার দাম অবশ্য গত সপ্তাহের মতোই রয়েছে। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৩০ টাকা, দেশি রসুন ১২০ টাকা, ভারতীয় রসুন ২৮০ টাকা, দেশি আদা ১০০ টাকা ও চায়নিজ আদা ৮০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
মোহাম্মদপুর কাঁচাবাজারের মুদি দোকানি মোতালেব মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, ‘চাল, ডাল ও চিনির দাম তো রোজা থেকেই বেড়েছে। এখন নতুন করে যুক্ত হয়েছে আলু ও ভারতীয় পেঁয়াজ। হুট করে এ মূল্যবৃদ্ধির জন্য আমরা যারা খুচরা ব্যবসায়ী, তাদেরকেই বিপাকে পড়তে হয়। একদিকে ক্রেতাদের বোঝাতে হয়, অন্যদিকে মহাজনের কাছ থেকে বেশি দাম দিয়ে কিনে আনতে হয়’।
মিরপুর ১০ নম্বরের বৌবাজারের বিক্রেতা বড় মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, ‘শুনেছি, আমদানি সমস্যা ও বৃষ্টির কারণে ভারতীয় পেঁয়াজ ও আলুর দাম বেড়েছে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা একেক সময় একেক কথা বলে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। তাই বেশি দাম দিয়ে কিনে আমাদেরকেও বেশি দামে বিক্রি করতে হয়’।
সবজির বাজারের স্বস্তি গত সপ্তাহের মতো রয়েছে। কেজিপ্রতি পটল ৪০ টাকা, গাজর ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১২০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, শসা ৩০ টাকা ও নতুন শিম ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে মাংসের বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা, গরুর মাংস ৫০০ টাকা ও খাসির মাংস ৭৫০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, কেজিপ্রতি এক নম্বর মিনিকেট চাল ৫৬ টাকা ও নাজিরশাহি চাল ৬২ টাকা, দেশি ডাল ১৩০ টাকা, ভারতীয় ডাল ১৩০ টাকা ও চিনি ৭৫ টাকায় বিক্রি করছেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৭
এমএ/এএসআর