ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আমদানিতেও চালের দাম কমেনি এখনো

মনি আচার্য্য, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩১ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০১৭
আমদানিতেও চালের দাম কমেনি এখনো আমদানিতেও চালের দাম কমেনি এখনো/ছবি: শোয়েব মিথুন

ঢাকা: দাম নিয়ন্ত্রণে গত সপ্তাহে প্রায় ৬০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি করেছে সরকার। এর বেশিরভাগ পাইকারি ও খুচরা বাজারে এলেও এখনো তেমন একটা কমেনি দাম। পাইকারি বাজারে কেজিপ্রতি এক থেকে দুই টাকা কমলেও খুচরা বাজারে কোনো প্রভাবই পড়েনি।

আমদানির চাল পুরোপুরি চলে এলেও দামে কোনো পরিবর্তন আসবে কি-না, তা নিয়ে সন্দিহান ব্যবসায়ীদের একাংশ। তবে আরেকটি অংশ মনে করছেন, চাল আমদানির প্রভাবে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বাজার দরে কিছুটা পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে।



রোববার (০৯ জুলাই) সরেজমিনে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে গেলে কয়েকজন খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ী জানান, বিগত কয়েক বছরের মধ্যে সরকারি গুদামে চালের মজুদ সবচেয়ে কম। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম সঙ্কট দেখিয়ে দাম বাড়িয়েই চলেছেন। বন্যাসহ বিভিন্ন দুর্যোগের অজুহাতেও দাম বাড়িয়েছেন তারা। তাই সরকারের আমদানি করা চাল বাজার দরে কোনো প্রভাব ফেলেনি।
আমদানিতেও চালের দাম কমেনি এখনো/ছবি: শোয়েব মিথুনতাদের মতে, দাম কমাতে হলে ব্যবসায়ীদের হাতে কি পরিমাণে চাল রয়েছে- সে তথ্য বের করে মজুদ করা চাল বাজারে নিয়ে আসতে হবে। চালের আমদানিও আরও বাড়াতে হবে।   খুচরা ব্যবসায়ী লিটন মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, খুচরা বাজারে চালের দামে এখনো প্রভাব পড়েনি। আগামীতে পড়বে বলেও মনে হচ্ছে না। পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মজুদের চাল বের না করলে অল্প আমদানির চালে দাম কমবে না।  

পাইকারি ব্যবসায়ী আমান উল্লাহ বলেন, ‘পাইকারি বাজারে চালের দাম কিছুটা কমেছে। আশা করি, এক সপ্তাহের মধ্যে খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়বে। তবে আমদানির চাল এখনো পুরোপুরি বাজারে আসেনি। ওই চালের প্রবাহ ও ব্যবসায়ীরা গুদাম থেকে বের করা শুরু করলে দাম আরও কমবে’।
আমদানিতেও চালের দাম কমেনি এখনো/ছবি: শোয়েব মিথুন
সর্বশেষ খুচরা বাজার দর অনুসারে, প্রতি কেজি মোটা চাল (গুটি, স্বর্ণা, বিআর-২৮, পারিজা) ৪৫-৪৮ টাকা, মিনিকেট চাল ৫৬-৬০ টাকা এবং নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায়। আর পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি মোটা চালের দাম ৪২-৪৪ টাকা, যা আমদানির চাল আসার আগে বিক্রি হতো ৪৩-৪৬ টাকা। মিনিকেট ও নাজিরশাইল চাল কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ৫০-৫১ ও ৫৩-৫৪ টাকায়। আগে যথাক্রমে বিক্রি হতো ৫১-৫২ ও ৫৪-৫৫ টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ০২১৫ ঘণ্টা,  জুলাই ১০, ২০১৭
এমএ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।