ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাণিজ্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৭
বাণিজ্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর

ঢাকা: জাতিসংঘ ঘোষিত সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি) অর্জনে বিশ্ব বাণিজ্যে সক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রতিবন্ধকতা দূর করার মাধ্যমে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির সম্মিলিত পরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

মঙ্গলবার (জুলাই ১১) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিতব্য ৬ষ্ঠ গ্লোবাল রিভিউ অফ এইড ফর ট্রেড-২০১৭ এর “এইড এন্ডইনক্লুসিভ ট্রেড: ফাইন্যান্সিং ট্রেড কানেকটিভিটি এন্ড দি এসডিজি’ শীর্ষক ‌উচ্চ পর্যায়ের বিষয় ভিত্তিক সেশনে তিনি এ আহ্বান জানান।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সফলভাবে এমডিজি অর্জন করে পুরস্কৃত হয়েছে।

এসডিজি অর্জনে সফল ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ এসডিজি অর্জন করতে সক্ষম হবে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক, সামাজিকসহ সকল ক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির  ক্ষেত্রে নন-ফরমাল সেক্টরে ক্ষুদ্র, মাঝারি বাণিজ্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। জনশক্তি বাংলাদেশের বড় সম্পদ। তাই কর্মক্ষম মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার বিকল্প নেই। বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, বিশ্ববাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা দূর এবং এলডিসি ভুক্ত দেশগুলোর বাণিজ্য সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ট্রেড রিলেটেড সকল সংস্থাকে একত্রিত করে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে শূন্য হাতে যাত্রা শুরু করে। স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সাল থেকে ১৯৯০ সালে গড়ে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৪ শতাংশের কম, ২০১০ থেকে ২০১৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬.৪ শতাংশে। চলতি অর্থ বছরে এ প্রবৃদ্ধি হবে ৭.২৪ ভাগ। বাংলাদেশ সরকার গৃহীত ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা সফল বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশের কাছাকাছি থাকবে। ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে এসডিজি অর্জনের পথ সুগম হবে।

এতে বাংলাদেশের দারিদ্র বিমোচন, নারী-পুরুষের সমতা, কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ এসডিজি অর্জনের সেক্টর গুলোতে দ্রুত এগিয়ে যাবে। আরো দুইটি অর্থাৎ ৮ম এবং ৯ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা সফল বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ এসডিজি অর্জন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।

নির্ধারিত বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে অসাধারণ  সফলতার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য বেড়েই চলছে। এ মহুর্তে বাংলাদেশ বিশ্বের চাহিদার ৬ ভাগের বেশি তৈরি পোশাক রপ্তানি করে বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশের স্থান দখল করে আছে। রপ্তানির অন্যান্য সম্ভাবনাময় সেক্টরের মধ্যে তথ্য প্রযুক্তি, জাহাজ নির্মাণ, ঔষধ, সিরামিক, ফার্নিচার ও ইলেক্ট্রনিক্স এগিয়ে রয়েছে। কৃষিখাতেও বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। হিমায়িত ও সামুদ্রিক মাছ রপ্তানিতে এখন বাংলাদেশের অবস্থান ৫ম। সেবা খাতেও বাংলাদেশ বিদেশে শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছে, বর্তমানে রেমিটেন্সের পরিমাণ ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।   কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত বছর রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৪.৮৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ এখন দেশের বড় বড় প্রকল্প নিজ অর্থায়নে বাস্তবায়নে সক্ষম।

এ সেশনে জুলিয়া নেইলসনের সঞ্চালনায় বিষয়ের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউরোপিয়ন কমিশনের ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক কমিশনার নিভেন মিমিকা। বিষয়ের উপর প্যানেল ডিসকাশনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ক্যামেরুনের ট্রেড মিনিস্টার লুক মেগলোইরি, পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী খুররম দস্তগীর খান, সুইডেনের ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এফেয়ার্স এন্ড ট্রেড মিনিস্টার এ্যান নিনডি, লাওস-এর শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী খিম্মানি ফলসিনা, জাতিসংঘ ও চীনের প্রতিনিধি প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৭
আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।