বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, সর্বশেষ গত জুন মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৭২ শতাংশ। গত মাসে এই হার ছিল ৫ দশমিক ২৮ শতাংশ।
পরিকল্পনা কমিশনের এনইসির সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে দুপুরে পরিকল্পনামন্ত্রী মূল্যস্ফীতির তথ্য সাংবাদিকদের জানান।
সব সূচকে মূল্যস্ফীতির হার চড়া প্রসঙ্গে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, বন্যার কারণে খাদ্যের সাময়িক সংকট তৈরি হয়েছিলো। এর পাশাপাশি ঈদে আমরা সবাই কিছু না কিছু কেনাকাটা করেছি। এর প্রভাবে মূলত মূল্যস্ফীতির হার একটু ঊর্ধ্বমুখী। তবে আমরা চাল আমদানি শুরু করেছি। এখন সব কিছুই ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। জুন মাসে বাজেটের প্রভাবেও মূল্যস্ফীতির হার চড়া হয়েছে। ’
বিবিএস সূত্রে জানা গেছে, গত জুন মাসে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত উভয় খাতেই মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। জাতীয়, গ্রামীণ ও শহর পর্যায়ে মূল্যস্ফীতির হার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। চাল, গরুর মাংস, কাঁচা-মরিচ, চা-পাতা, সয়াবিন তেল, দুধ, মাছ ও শাক সবজির দাম চড়া। খাদ্য বর্হিভূত আইটেমের মধ্যে বাড়ি ভাড়া, জ্বালানি,পরিধেয় বস্ত্র, আলো, আসবাবপত্র, চিকিৎসা সেবা, পরিবহন ও শিক্ষা উপকরণের দামও চড়া।
জাতীয় মূল্যস্ফীতি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের চতুর্থ কোয়ার্টারে (এপ্রিল-জুন) সাধারণ মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্টের ভিত্তিতে ৫ দশমিক ৭২ শতাংশ হয়েছে। গত বছর একই সময় যা ছিলো ৫ দশমিক ৫৩ ভাগ।
গ্রামীণ পর্যায়ে চলতি অর্থবছরের চতুর্থ কোয়ার্টারে (এপ্রিল-জুন) সাধারণ মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্টের ভিত্তিতে ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ হয়েছে। গত বছর একই সময় ছিলো ৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
শহর পর্যায়ে, চলতি অর্থবছরের চতুর্থ কোয়ার্টারে (এপ্রিল-জুন) সাধারণ মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্টের ভিত্তিতে ৬ দশমিক ৬১ শতাংশ হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৭
এমআইএস/আরআই