এরপর থেকেই ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হতে থাকবে নগরবাসীর স্বপ্নের মেট্রোরেল।
মেট্রোরেল প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক মো. মাহবুবুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, ‘এখন প্রকল্পের দৃশ্যমান তেমন কোনো অগ্রগতি নেই।
চুক্তির আওতায় প্রকল্পের প্যাকেজ ২, ৩ ও ৪-এ স্থাপনা নির্মাণে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে। এর মধ্যে প্যাকেজ-২ এর ডিপো এলাকার পূর্ত কাজের চুক্তিমূল্য প্রায় এক হাজার ৫৯৬ কোটি টাকা। এ কাজের অগ্রগতিও ৪৫ শতাংশ।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, অ্যালাইনমেন্ট বরাবর বিদ্যমান ইউটিলিটি স্থানান্তর সম্পূর্ণ হয়েছে। ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো), পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি (পিজিসিবি), তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (তিতাস), বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি (বিটিসিএল), ঢাকা ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড স্যুয়ারেজ অথরিটি (ওয়াসা), ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি), গ্রামীণফোন, মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস (এমইএস), সামিট কমিউনিকেশনস্ লিমিটেড (এসসিএল), এফঅ্যান্ডএইচ এবং ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের নানা ইউটিলিটি লাইন ও ফাইবার হোমস্ ইউটিলিটি স্থানান্তরের কাজ শেষে গর্ত ভরাট করে যান চলাচলের উপযোগীও করা হয়েছে।
সর্বসাধারণের গণপরিবহনের সুবিধাদির আধুনিকায়নে ২০১২ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন মেয়াদে মেট্রোরেল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ঢাকা যানবাহন সমন্বয় বোর্ড। মোট ব্যয় ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকার মধ্যে প্রকল্প সাহায্য হিসেবে জাইকা ঋণ দিচ্ছে ১৬ হাজার ৫৯৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
উত্তরা থেকে মিরপুর হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের মোট ১৬টি স্টেশন থাকবে। ২৪টি ট্রেন প্রতি ঘণ্টায় আপ ও ডাউন রুটে ৬০ হাজার যাত্রী আনা-নেওয়া করবে।
সবকিছু ঠিক থাকলে ২০১৯ সালের মধ্যে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল। এ লক্ষ্যে এ অংশে শুরু হচ্ছে পাইলিং কাজ। বাকি ছয় বছরে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত সম্পূর্ণ হবে প্রকল্পের কাজ।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৭
এমআইএস/এএসআর