বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আগে গত জুনে শুন্য মার্জিনে চাল আমদানির এলসি (ঋণপত্র) খোলার সুযোগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
এছাড়া চাল আমদানিতে উৎসাহ দিতে কমানো হয়েছে আমদানি শুল্ক। চাল আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে সরকার।
দেশের চালের বাজার দীর্ঘ দিন ধরে স্থিতিশীল ছিল। তবে সম্প্রতি হাওর অঞ্চলে বন্যার পর হঠাৎ করে চালের দাম ব্যাপকহারে বেড়ে যায়।
অন্যদিকে সরকারি গুদামে মজুদও একেবারে কমে আসে। এতে সরকার কিছুটা বিপাকে পড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকার চাল আমদানি শুরু করে। আর বেসরকারি খাতের আমদানি বাড়াতেও বিভিন্ন সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এসব উদ্যোগের ফলে চালের দাম এখন নিম্নমুখী ধারায়।
জানা গেছে, বর্তমানে সরকারি গুদামে মাত্র এক লাখ ৭৬ হাজার টন চাল মজুদ আছে। বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ীদের কাছেও বছরের শুরুতে চালের ঘাটতি ছিল। এর মধ্যে হাওর অঞ্চলে বন্যা চালের বাজার অস্থির করে তোলে। চাল আমদানির জন্য বিভিন্ন সুবিধা দেওয়ার পরে আমদানি বাড়তে থাকে। এতে চালের দামও কিছুটা কমেছে। তবে যতটা কমা উচিত ততটা কমেনি বলে মনে করছেন ভোক্তারা। আর সরকারি গুদামে পর্যাপ্ত মজুদ না থাকায় সরকারও বাজার নিয়ন্ত্রণে জন্য কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করতে পারছে না। অন্যদিকে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য সরকারের ওএমএস প্রকল্পও কিছুদিন ধরে বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়:০৪৫৭ ঘণ্টা, জুলাই: ২০, ২০১৭
এসই/জেএম