ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

জাহাজ নির্মাণ ঋণে সুদ নয়

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৭
জাহাজ নির্মাণ ঋণে সুদ নয় ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: জাহাজনির্মাণ চালু থাকা অবস্থায় ব্যাংকগুলো কোনো প্রকার ঋণের সুদ গ্রহণ করবে না। এমন একটি প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রহণ করেছে।জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ব্লু-ইকোনমি সেল এ বিষয়টি উত্থাপন করলে তাতে সম্মতি দিয়ে চিঠি দিয়েছে সরকারে এ দু’টি প্রভাবশালী অঙ্গ।

কারওয়ান বাজারে পেট্রোবাংলা ভবনের ৯তলায় এ সেলটি অবস্থিত। প্রায় ছয়মাস আগে সেলটি খোলা হয়েছে।

ব্লু-ইকোনমি সেলের অতিরিক্ত সচিব গোলাম শফিউদ্দিন বিষয়টি জানিয়ে বলেন, এ সেল প্রতিষ্ঠা করাই হয়েছে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাজের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করার জন্য। কয়েক মাস আগে কয়েকটি বৈঠকে আমরা সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি যে, নির্মাণাধীন অবস্থায় জাহাজ শিল্পের ঋণে যেন সুদ নেওয়া না হয়। তাতে সম্মত হয়ে গত মে মাসে চিঠি দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক।

তিনি জানান, এটি খুবই খুশির খবর জাহাজশিল্পের জন্য। সরকারের এ সিদ্ধান্তে ব্লু-ইকোনমি এগিয়ে যাবে।

ব্লু-ইকোনমি সেলের বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত কমোডর এ এ মামুন চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, এ শিল্পে জাহাজের আয়তন ও ব্যাপকতার ওপর নির্ভর করবে কতদিন সুদহীন ঋণ পাবে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি। কোম্পানি যদি বোঝাতে সক্ষম হয় যে, তার জাহাজটি নির্মাণ করতে ৫ বছর লাগবে তাহলে ৫ বছর তাকে ঋণে সুদ দিতে হবে না। আগে ঋণ নেওয়ার প্রথম দিন থেকে সুদ গুণতে হতো।

সেল সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর হলো বাংলাদেশে জাহাজশিল্প প্রসার লাভ করতে শুরু করেছে। বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দেওয়ায় শিল্পটি শুরুতেই হোঁচট খায়। চলতি বাজেটে জাহাজনির্মাণ শিল্পের জন্য উদ্যোক্তারা স্বল্পসুদে ঋণ বিতরণে একটি দীর্ঘমেয়াদী বিশেষ তহবিল গঠনেরও দাবি জানিয়েছিলেন। সরকার এ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েছে।

বর্তমানে এ খাতে প্রায় অর্ধশত সচল প্রতিষ্ঠান রয়েছে। রপ্তানিমুখী জাহাজনির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব এক্সপোর্ট ওরিয়েন্টেড শিপ বিল্ডিং ইন্ডাস্ট্রি অব বাংলাদেশ’র (এইওএসআইবি) তথ্য অনুযায়ী, দেশে ছোট আকারের জাহাজের চাহিদা বাড়ছে। আগামী পাঁচ বছরে এ ধরনের প্রায় ৩০০টি নতুন জাহাজের প্রয়োজন হবে।

এ ছাড়া আগামী কয়েক বছরে দেশে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান, এলএনজি টার্মিনালসহ সমুদ্রে নানা অবকাঠামো নির্মাণকাজে সাহায্যকারী জাহাজ নির্মাণের চাহিদাও বাড়বে। সেই সঙ্গে বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লা পরিবহনের জন্যও জাহাজের চাহিদা বাড়বে।

বাংলাদেশ সময়: ০৬১২ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৬
কেজেড/এসএইচ/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।