এক কর্মকর্তা জানান, এ চুক্তির ফলে শ্রীলংকাই হবে প্রথম দেশ যার সঙ্গে বাংলাদেশ এ চুক্তি করবে।
বাংলাদেশ অনেক দেশকেই অনুরূপ চুক্তি করার বিষয়ে প্রস্তাব দিলেও এ পর্যন্ত শ্রীলংকাই কেবল সাড়া দিয়েছে।
তিন দিনের সফরে শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা সিরিসেনা ১৩ জুলাই বাংলাদেশ সফরে এলে দুই দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা এ চুক্তি করতে চূড়ান্তভাবে সম্মত হন।
তার আগে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ২০১৬ সালের নভেম্বরে কলম্বো সফরে গেলে বাংলাদেশ ও শ্রীলংকা ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট (এফটিএ) স্বাক্ষর করতে একমত হয়। শ্রীলংকায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-শ্রীলংকা জয়েন্ট ইকনোমিক কমিশনের ৫ম সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এফটিএ স্বাক্ষরের পর দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যে নতুন যুগের সূচনা হবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
তিনি বলেন,নেপাল ও ভুটান স্থলবেষ্টিত দেশ (ল্যান্ডলকড কান্ট্রি)। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবকাঠামো ব্যবহার করে তারা সুবিধা নিতে পারে। বাংলাদেশ শুধু রাজস্ব আদায় করবে না এ দুটি বাজারে পণ্য বিক্রি করতেও পারবে। ভুটানের জনপ্রতি বার্ষিক আয় বেশি হলেও মানুষ কম। অন্যদিকে নেপালে মানুষ বেশি হলেও তাদের আয় কম।
বাংলাদেশের জন্য শ্রীলংকায় বাণিজ্য করা সুবিধা হতে পারে কারণ এ অঞ্চলে যে কোনো দেশের চেয়ে শ্রীলংকার জনপ্রতি বার্ষিক আয় সর্বাধিক। তাই এ চুক্তির গুরুত্ব অপরিসীম।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রীলংকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার পর বর্তমানে যে সকল ইন্ডাস্ট্রি তারা শুরু করছে তাতে তাদের অর্থনীতি আরও সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ নিম্ন মধ্য আয়ের দেশের কাতারে পৌঁছেছে। কিন্তু কোনোও রাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট নেই।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৭
কেজেড/জেএম