‘আশুগঞ্জ নদীবন্দর-সরাইল-ধরখার-আখাউড়া স্থলবন্দর মহাসড়ক চারলেন’ প্রকল্পটির মোট ব্যয় হচ্ছে ৩ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে ভারতীয় ঋণ থেকে ৩ হাজার ৩২ কোটি টাকা ও বাকি অর্থ সরকারি খাত থেকে মেটানো হবে।
গত ২০ জুন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় চূড়ান্ত অনুমোদন পায় প্রকল্পটি। এরপর উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনারও (ডিপিপি) প্রশাসনিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দ্রুততম সময়ে নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এম এন সিদ্দিক।
সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্র জানায়, ভারতের সঙ্গে ট্রানজিটসহ উপ-আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রকল্পের আওতায় স্লো-মুভিং ভিয়াকুলার ট্রাফিক (এসএমভিটি) লেনসহ ফোরলেনে রূপান্তরসহ মহাসড়কটির নেটওয়ার্কের উন্নয়ন করা হবে।
মোট সড়কের মধ্যে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আশুগঞ্জ পর্যন্ত আধা কিলোমিটার, আশুগঞ্জ থেকে সরাইল পর্যন্ত সাড়ে ১১ কিলোমিটার এবং সরাইল জাতীয় মহাসড়কের সরাইল থেকে কুমিল্লা (ময়নামতি) হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ধরখার পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার ও ধরখার থেকে আখাউড়া স্থলবন্দরের সেনারবদি পর্যন্ত ১১ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার সড়ক অন্তর্ভুক্ত। পুরো মহাসড়কে প্রয়োজন অনুসারে ব্রিজ, কালভার্ট, ফুট ওভারব্রিজ, আন্ডারপাস ও রেল ওভারপাসও নির্মিত হবে।
ইআরডি সূত্র জানায়, ভারত থেকে পাওয়া দ্বিতীয় নমনীয় ঋণের (এলওসি) দুই বিলিয়ন ডলার (২০০ কোটি ডলার) বা প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো খাতে ব্যয় করা হবে। বিশেষ করে রেল, বিদ্যুৎ, তথ্যপ্রযুক্তি, সড়ক পরিবহন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নৌ-পরিবহন, অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ নানা খাতের উন্নয়নে এ অর্থ কাজে লাগানো হবে।
এর অংশ হিসেবে ফোরলেন নির্মাণ প্রকল্পে ভারতীয় ঋণের ৩৭৯ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হবে। মাত্র ১ শতাংশ সুদে ২০ বছরের মধ্যে এ ঋণ শোধ করতে হবে, যার প্রথম পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডে কোনো কিস্তি পরিশোধ করতে না। তবে সব প্রকল্প বাস্তবায়নে অন্তত ৭৫ শতাংশ পণ্য ও সেবা অবশ্যই ভারত থেকে আমদানি করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৭
এমআইএস/এএসআর