বিবিএস’র হিসেবে, গত জুলাই মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ। জুনে এ হার ছিল ৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
পরিকল্পনা কমিশনের এনইসির সম্মেলনকক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে দুপুরে পরিকল্পনামন্ত্রী পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল মূল্যস্ফীতির এ তথ্য সাংবাদিকদের জানান।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে চাল, তেল ও চিনির দাম কম হওয়ার কারণে সব সূচকেই মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। তবে চালের দাম শুধু বেড়েছে শহরে, গ্রামে বাড়েনি। গ্রামের মানুষদের ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়া হচ্ছে। ফলে গ্রামে কোনো ধরনের প্রভাব পড়েনি’।
বিবিএস সূত্রে জানা গেছে, গত জুলাই মাসে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত উভয় খাতেই মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। জাতীয়, গ্রামীণ ও শহর পর্যায়েও মূল্যস্ফীতির হার সহনশীল বলে দাবি করেছে সংস্থাটি।
বিবিএস’র তথ্যে চাল, গরুর মাংস, কাঁচা-মরিচ, চা-পাতা, সয়াবিন তেল, দুধ, মাছ ও শাক-সবজির বাড়েনি। খাদ্য বর্হিভূত আইটেমের মধ্যে বাড়িভাড়া, জ্বালানি, পরিধেয় বস্ত্র, আলো, আসবাবপত্র, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন ও শিক্ষা উপকরণের দামও ছিলো নাগালের মধ্যে।
ফলে খাদ্য খাতে জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ, জুনে যা ছিলো ৭ দশমিক ৫১ শতাংশ। একইভাবে খাদ্যবহির্ভূত উভয় খাতেই মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ, আগের মাসে যা ছিলো ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
জাতীয় মূল্যস্ফীতি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ হয়েছে। গত বছর একই সময় ছিলো ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
গ্রামীণ পর্যায়ে চলতি অর্থবছরের জুলাই মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্টের ভিত্তিতে ৫ দশমিক ৪১ শতাংশ হয়েছে। গত বছর একই সময় ছিলো ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
শহর পর্যায়ে, চলতি অর্থবছরের সাধারণ মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্টের ভিত্তিতে ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ হয়েছে। গত বছর একই সময় ছিলো যা ছিলো ৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৭
এমআইএস/এএসআর